আশিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পোস্ট শান্তনুর, মেয়েকে ফেল করানোর চেষ্টার অভিযোগ

0
1

প্রথম থেকেই আর জি কর মেডিক্যালে থ্রেট কালচারের অভিযোগে সরব ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। এর আগে সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির সময়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তিনি। এবার আশিস পাণ্ডের গ্রেফতারির পর তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কিছু অভিযোগ আনলেন শান্তনু। এমনকী দাবি করলেন, তার ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়েকেও হুমকি দিয়েছিল আশিস ও তার দলবল। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো আগে থেকে এসব জানলে বরদাস্ত করতেন না বলে দাবি করেন শান্তনু।

বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে All India Trinamool Congress এর ছাত্র সংগঠনের সভাপতি সেজে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) ও নেতা অভিষেক  বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) –  এর নাম বদনাম করে দীর্ঘদিন নানা ধরনের দুর্নীতির নায়ক হয়ে থেকেছে এই আশিস পাণ্ডে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কারা কারা, তার মাথায় হাত রেখেছিল, সেটাও আজ সবারই জানা হয়ে গিয়েছে। জুনিয়রদের ভয় দেখানো, ফেস্টিভ্যালের(festival) নামে টাকা তোলা, পরীক্ষায় পাশ ফেল নিয়ন্ত্রণ করা, প্রশ্ন বলে দেওয়া, হোস্টেলে হোস্টেলে র্যাগিং করা, বেআইনিভাবে হাউসস্টাফশিপ দেওয়া, সিনিয়ার ডাক্তারদের মারধর করা, প্রাক্তনীদের ঘরে তালা মেরে দেওয়া সহ বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির নায়ক ছিল এই বিখ্যাত আশিস পান্ডে।তার বাকি কীর্তিকলাপ গুলো আর প্রকাশ্যে বললাম না অর্থাৎ আশিসের যে আরও দুর্নীতি রয়েছে সেই আঁচও দিয়ে রাখলেন তিনি।

এই অভিযোগগুলিই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করে যাচ্ছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।  নিজেদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী বলে তৃণমূলেরই সর্বোচ্চ নেত্রীর পাঠানো নতুন অধ্যক্ষকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি আশিস, অভিযোগ করেছেন শান্তনু।তিনি আরও লেখেন, আমার মেয়েকে, যে ওই কলেজের ছাত্রী, তাকে ভয়ঙ্কর ভাবে মানসিক নির্যাতন করেছে দিনের পর দিন। রাত পৌনে বারোটার সময় ফোন করে হুমকি দিয়েছে, কলেজের মধ্যে এক ঘরে করে রেখেছে। পরীক্ষায় ফেল করানোর চেষ্টা করেছে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাকেও মারাত্মকভাবে অপমান করেছে। আমার নামে মিথ্যা পোস্টার মেরেছে। সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে মারতে এসেছে।আজ আবার প্রমাণ হলো এইসব খলনায়কদের বিচার যখন আমরা করতে পারিনা, তখন ঈশ্বর বিচার করে দেন । আশা করি এখনও যারা এই আশিস পান্ডের(ashish pande) মতো আমাদের দলে থেকে তাদের কৃত কুকর্মের জন্য দলকে বদনাম করছে, অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করে দল তাদের বিচার করবে।

এরই পাশাপাশি,শান্তনু উল্লেখ করেন,আমি বিশ্বাস করি, আমার দলনেত্রী সঠিক খবর পেলে কখনোওই দুর্নীতির সাথে আপোষ করেন না। যারা এদের মদত দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেন এবং দল ও দলনেত্রীকে ভুল খবর দেন ও দলের ক্ষতি করেন তারাও চিহ্নিত হবেন। এবং যারা প্রকৃত অর্থে দলের ভাল চেয়ে প্রাণপাত করে কাজ করে যায়, তাদের সঠিক মূল্যায়ন হবে।

প্রসঙ্গত, এই আশিস পাণ্ডের বিরুদ্ধেই থ্রেট কালচার(threat culture) চালানোর অভিযোগও রয়েছে। আর জি কর মেডিক্যালের তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছেন তিনি। শান্তনুর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরও বিপাকে অভিযুক্ত আশিস পাণ্ডে।সময়ই বলবে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্তা নেওয়া হবে।