জরুরি ভিত্তিতে সতর্কতা জারি করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।আজ, বৃহস্পতিবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে ছুটে যাওয়ার কথা দু’টি গ্রহাণুর। সেই নিয়ে সতর্ক করল নাসা। কারণ ওই দুই গ্রহাণুর মধ্যে একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ SD3 গ্রহাণুটির আয়তন ৬৮ ফুট।এটি ছোট আকারের বিমানের সমান। সেটিকে ‘সম্ভবত বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। আকার এবং গতিবেগের জন্যই ২০২৪ SD3 গ্রহাণুটিকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।আশার কথা একটাই যে পৃথিবী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই সেটি বেরিয়ে যাবে।জানা গিয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে যখন থাকবে, তখন পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব হবে ২৬ লক্ষ ৮০ হাজার কিলোমিটার। গতিবেগ হবে ঘণ্টায় প্রায় ৪১ হাজার ৮৩৫ কিলোমিটার।
দ্বিতীয় গ্রহাণু ২০২৪ SR4 টি আয়তনে কিছুটা ছোট, ৫১ মিটা।২০২৪ SD3-র চেয়ে পৃথিবীর বেশি কাছে থাকবে সেটি। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে যখন সেটি অবস্থান করবে, তখন দূরত্ব হবে ১৪ লক্ষ ৯০ হাজার কিলোমিটার। গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ হাজার ৬২৯ কিলোমিটার হবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রাত ৯টা বেজে ১৯ মিনিটে এটি পৃথিবীকে অতিক্রম করবে।
নাসার বি্জ্ঞানীরা এই মুহূর্তে ওই দুই গ্রহাণুর উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। একটি গ্রহাণুর নাম রাখা হয়েছে ২০২৪ SD3, অন্যটির নাম রাখা হয়েছে ২০২৪ SR4। বৃহস্পতিবার পৃথিবীর গা ঘেঁষে ছুটে যাবে তারা। এমনিতে তাদের গতিপথ নিয়ে বিপদের কোনও ঝুঁকি নেই। কিন্তু ছুটে যাওয়ার সময় কোনও বিপদ ঘটতে পারে কি না, কী হয় সেদিকে নজর রয়েছে বিজ্ঞানীদের।মহাজাগতিক এই ঘটনা গবেষণার কাজে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে।পৃথিবীর জন্য গ্রহাণু দুটি বিপদ ডেকে আনবে কি না, সেই নিয়েও ধারণা পেতে চান বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোনও মহাজাগতিক বস্তুর আয়তন যদি ২৫ মিটার বা ৮২ ফুটের কম হয়, সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রবেশের পর ঘর্ষণেই পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কথা। এর চেয়ে সামান্য বড় বস্তু যদি আছড়ে পড়ে, তাহলে যেখানে আছড়ে পড়বে, সেই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। কিন্তু ১ কিলোমিটার আয়তনের কোনও বস্তু যদি আছড়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে, যার প্রভাব গোটা পৃথিবীতে বোঝা যাবে।