দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আনন্দে বাঙালির অন্যতম আকর্ষণ সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangh) পুজো। ৭১ বছরে পদার্পণ করছে শারদোৎসব। উদ্যোক্তাদের এবারের ভাবনা ‘পুরানো সেই দিনের কথা’। এদিন পুজোর থিম সং উদ্বোধন হলো, যার গীতিকার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানব জীবনের এগিয়ে চলার ব্যস্ততায় চেতন অবচেতনের মাঝে হারিয়ে যাওয়া অতীতের স্মৃতিকে বর্তমানে তুলে ধরতেই এই বিষয় ভাবনাকে দর্শকের সামনে উপস্থাপিত করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। মাতৃপক্ষ শুরুর প্রাক্কালে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas), সুরুচি সংঘ বিশ্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ বিশ্বাস-সহ বিশিষ্টদের উপস্থিতিতে এবারের পুজোর থিম সং প্রকাশ্যে এলো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় গানটি গেয়েছেন শিল্পী মহালক্ষী আইয়ার, শুরু করেছেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Jeet Ganguly)।আজ থেকেই পুজো মণ্ডপে সেই সুরের দোলা।

এক সময় যা ছিল অতি প্রয়োজনীয়, কালের নিয়মে তা হয়তো পড়েছে বাতিলের দলে। তাদের নিয়েই সুরুচির এবারের মণ্ডপ প্রাঙ্গণ সত্যিই অভিনব। প্যান্ডেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে তেলের টিন, রঙের ড্রাম, ডাবু হাতা, মাছ ধরার জাল ইত্যাদি। এসব হয়তো অকিঞ্চিৎকর, কিন্তু শৈল্পিক অনুরণনের অনবদ্যতায় তা পৌঁছেছে সুরুচি সংঘের ৭১ তম বর্ষের পুজো প্রাঙ্গণে। মূল প্রবেশপথ থেকে মণ্ডপে যেতে গিয়ে যেমন আধুনিক সভ্যতার প্রতিচ্ছবির দেখা মিলবে, তেমনই বাহির পথে দৃশ্যমান হবে সমাজের অভিশাপ বৃদ্ধাশ্রম-এর প্রতি নীরব প্রতিবাদ। এই ভাবনার পরিকল্পনা এবং রূপায়ণ করেছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা। মাতৃ মন্দিরের যেমন রয়েছে সাবেকি ঠাকুর দালান, ঠিক তেমনই লক্ষ্য করা যাবে ঐতিহ্যশালী টেরাকোটার কাজ। পুজোর থিম সংগীতেও মিশেছে সেই ভাবনা।









































































































































