সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে উঠে এল বাম আমলের ওষুধ দুর্নীতির প্রসঙ্গ৷ আরজি কর সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে সওয়াল করার সময়ে দাবি করেন, দু দশক আগে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বহাল ছিল জাল ওষুধ চক্র৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রানাঘাট পৌরসভা হাসপাতালে কর্মরত জনৈক চিকিত্সক চন্দন সেন খুন হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি৷

রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে সক্রিয় জাল ওষুধ চক্রের হাল হকিকত জেনে যাওয়ার কারণেই ২০০৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খুন হতে হয়েছিল চিকিত্সক চন্দন সেনকে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে অভিযোগ করেন এডুলজি৷ তাঁর দাবি, ২৩ বছর আগে চিকিত্সক চন্দন সেন খুনের ঘটনার কোনও প্রতিবাদ করা হয়নি৷ সেই সময়েও বাংলাদেশ যোগ ছিল, আরজি কর কান্ডের সঙ্গেও বাংলাদেশের যোগ আছে বলে অভিযোগ করেন এডুলজি৷ তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশে পাচার করা হত কোটি কোটি টাকার বায়োমেডিকেল ওয়েস্ট৷ এর সঙ্গেই আরজি কর হাসপাতালের কর্মরত তরুণী চিকিত্সকের খুনের যোগ আছে বলেও দাবি জানান তিনি৷ এদিনের শুনানি চলাকালীন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দিয়েছেন, এখন আরজি কর হাসপাতালের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই৷ পরবর্তীকালে তারা খতিয়ে দেখবে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে এই খুনের ঘটনার কোনও যোগাযোগ আছে কি না৷
আরও পড়ুন- নেতৃত্বে যুবনেতা কৈলাশ, লিলুয়ায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রুখলেন যুব তৃণমূল কর্মীরা











































































































































