গজোলডোবায় মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, অভিভাবকহীন তরুণকে সস্নেহে নিজের শাল দিলেন মমতা

0
1

গজোলডোবায় শর্ট সার্কিট একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়। রবিবার, শিলিগুড়ি (Siliguri) পৌঁছে উত্তরকন্যায় স্বজনহারা পরিবারে হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক অভিভাবকহীন তরুণ এসেছিলেন চেক দিতে। কিন্তু গুরুদশায় সামান্য পোশাকে তাঁর ঠাণ্ডা লাগছিল। বুঝতে পেরে বাংলার ‘দিদি’ মমতা নিজের শাল আনিয়ে সস্নেহে তাঁর গায়ে জড়িয়ে দেন। এই সহমর্মিতায় আপ্লুত পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে কেঁদে ফেলেন মৃতের আত্মীয়া। এঁদের পাশাপাশি, শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৬টি দোকানের মালিকদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গজোলডোবায় বিদ্যুৎ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ছিল না। বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মারা যান ৪ জন। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হল। খুবই দুঃখজনক ঘটনা একটা পরিবার এর ৪ জন মারা গিয়েছেন। আজ আমরা যেগুলো বন্যায় প্লাবিত হতে পারে ও হয়েছে তাঁদের সবার সঙ্গে মিটিং করলাম। সবাইকে অনুরোধ করব তার টানবেন না। বিদ্যুৎ দফতরকে বলেছি একটা অ্যাড করতে।” স্বজহারাদের কারও হাতে ৫ লক্ষ ও কারও হাতে ৩ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। সেই সময় অক অভিভাবকহীন তরুণের গায়ে গামছা জড়ানো দেখে, গাড়ি থেকে নিজের শাল আনিয়ে তাঁর গায়ে জড়িয়ে দেন বাংলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই স্নেহে আপ্লুত সবাই। মমতার হাত ধরে কেঁদে ফেললেন স্বজনহারা আত্মীয়য়া। পরম মমতায় তাঁর মাথায় হাত রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।  শনিবার শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ৬টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি গৌতম দেবকে দায়িত্ব দিয়েছি, ৬টি দোকান তৈরি করে দিতে। এবং যেহেতু পুজোর সময় দোকানগুলি পুড়ে গিয়েছে তাই সরকার ডিজাস্টার ডিপার্টমেন্ট থেকে ১ লক্ষ করে দেওয়া হবে। আর বাকি ১৯ টি দোকান যেগুলি অল্প ক্ষতি হয়েছে তাদের ৫০হাজার করে দেওয়া হবে। আর দোকানগুলো তৈরি করে দেওয়া হবে। কারণ পুজোর সময় মানুষের রুজি রোজগার বলে একটা বিষয় থাকেই, তাই এগুলো ম্যাটার করে। তাঁরা জিনিসপত্র গুছিয়ে আনে বিক্রি করার জন্য। তাই তাঁদের এইটুক হেল্প আমরা করলাম।“