রাজ্যের বাইরে কর্মরত এক IAS অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! ৫৩ বছর বয়সই অভিযুক্ত পেশায় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী ওই নির্যাতিতার পারিবারিক বন্ধু। গত জুলাই মাসে লেক থানা এলাকায় ওই ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি চলতি বছরের ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের ঘটে। ১৪ জুলাই রাত সাড়ে ১১ নাগাদ এবং ১৫ জুলাই ভোর সাড়ে ৬ নাগাদ নিগৃহীতা মহিলার বাড়িতে ঢুকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)।

গ্রেফতারির পরেই নিম্ন আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জামিন পান অভিযুক্ত। পরবর্তী ক্ষেত্রে তার আগাম জামিনও মঞ্জুর করে আদালত। নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন এবং আগাম জামিন খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লালবাজারে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে মামলা হস্তান্তর করা হয়। তিনি এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হবেন, নির্দেশ আদালতের।

এছাড়া শুক্রবার সেই মামলার শুনানি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, “প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় FIR দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগ পত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠছে, তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।” তাই লেক থানার ওসি, একজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন সার্জেন্ট এবং তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।

আদালতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে,ঘটনার অভিযোগ জানানোর দিন লেক থানায় কোনও মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। ফলে কড়েয়া থানা থেকে মহিলা আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি নির্যাতিতা মহিলার বয়ান ভিডিও রেকর্ড করেন। পাশাপাশি রাজ্যের আরও দাবি, নির্যাতিতা নিজে থেকে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছিলেন। পুলিশকে দেওয়া সেই রিপোর্ট শরীরের আঘাতের উল্লেখ থাকলেও রক্তক্ষরণের কথা উল্লেখ করা ছিল না।









































































































































