চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ে তৎপর হচ্ছে কলকাতা পুরসভা। এতদিন পরিকাঠামোর অভাবে চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদিত এজেন্সির উপর নির্ভর করতে হত পুরসভাকে। কিন্তু এবার চিকিৎসা বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য নিজস্ব প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা করছে কেএমসি।

বুধবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে সেই ইঙ্গিত দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বলেন, শহরের বিভিন্ন পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৯৩ কেজি চিকিৎসা বর্জ্য বের হয়। কিন্তু পুরসভার কাছে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদিত এজেন্সিকে টাকা দিয়ে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করাতে হয়। এবার পুরসভা নিজস্ব প্ল্যান্ট তৈরির পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই পুরসভার কঠিন বর্জ্য বিভাগ টেন্ডারও পাশ করেছে। এর ফলে পুরসভাই প্রতিদিনের চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ করতে পারবে। পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্রর সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালগুলির দৈনিক চিকিৎসা বর্জ্যও সংগ্রহ করবে কেএমসি। এর জেরে আয়ও বাড়বে।

পুর-অধিবেশনে যেখানে-সেখানে নোংরা ফেলার জন্য পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগ যে স্পট ফাইনের নিয়ম চালু করেছে, তা নিয়েও বড় ঘোষণা করেন মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। কাউন্সিলর ইলোরা সাহার কিউআর কোডের মাধ্যমে অনলাইনে ফাইন সংগ্রহের প্রস্তাবে সায় দেন কঠিন বর্জ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ। বলেন, যত্রতত্র নোংরা ফেলার ক্ষেত্রে পুর-আইন অনুযায়ী স্পট ফাইনের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কিন্তু নগদ লেনদেনের সময় অনেকক্ষেত্রেই স্বচ্ছতার অভাব থাকে। সেই সমস্যা কাটাতে অনলাইনে ফাইন নেওয়ার প্রস্তাব অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। কিন্তু এর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে কাজ করতে হবে কঠিন বর্জ্য বিভাগকে। শীঘ্রই আমরা তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলব।
আরও পড়ুন- পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পদে রদবদল! নয়া দায়িত্বে আয়েশা রানি







































































































































