সন্তানের সামনে মাকে খুন! ‘কুড়িয়ে পাওয়া অস্ত্রে’ই খুনি স্বামী

0
2

ঘরের মধ্যে স্ত্রী সন্তানের সঙ্গেই ছিলেন প্রসেনজিত বারুই। হঠাৎই বাজি ফাটার মতো শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন প্রসেনজিতের বাবা। ঘরে ঢুকেই দেখেন বৌমা মৈত্রী রক্তারক্তি অবস্থায় মাটিতে পড়ে। ছেলের হাতে বন্দুক। সামনে বসে পাঁচ বছরের ছোট ছেলে। কোনওক্রমে হাসপাতাল নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে অস্ত্রসহ প্রসেনজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পুলিশের কাছে প্রসেনজিত যে বয়ান দেয় তা শুনে এতটুকুও সত্যি মনে হয়নি পুলিশের। মৈত্রীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি কীভাবে প্রসেনজিতের কাছে বন্দক এলো, তদন্তে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট (Chandannagar Police Commissioner)।

হুগলির (Hooghly) কোন্নগরের কানাইপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিতের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল স্ত্রী মৈত্রীর, দাবি ঘাতক স্বামীর বাবা পরিমলের। পেশায় রাজমিস্ত্রী প্রসেনজিত কাদের সঙ্গে মিশত তা জানেন না বলেই দাবি করেন পরিমল বারুই। সেক্ষেত্রে তারই হাতের অস্ত্র থেকে গুলি বেরিয়েই যে মৃত্যু হয়েছে বৌমা মৈত্রীর, সেকথা তিনি স্বীকার করছেন।

পুলিশের দাবি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে গৃহবধূর। যদিও পুলিশি জেরায় প্রসেনজিত দাবি করেছে পুকুরের পাড়ে সেই বন্দুক কুড়িয়ে পেয়েছিল সে। অস্ত্র কীভাবে চলবে সেটাই পরীক্ষা করছিল সে। সেই সময়ই আচমকা গুলি বেরিয়ে যায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় স্ত্রী মৈত্রীর, দাবি প্রসেনজিতের।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি (Amit P Javalgi) জানান,খুনের অভিযোগ দায়ের করা হবে। মৃতদেহের ময়না তদন্তে ভিডিও গ্রাফি করা হবে। অভিযুক্তের দাবী খতিয়ে দেখা হবে। অত্যাধুনিক অস্ত্র (improvised gun) পুকুর থেকে পেলে সেটা লোডেড (loaded) থাকা সম্ভব না,যদি পেয়েও থাকে পুলিশকে জানায়নি কেন? সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।