দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন যকৃতের ক্যান্সারে। বুধবার দুপুরে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হল বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম (Haji Nurul Islam)। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নুরুল ইসলাম (Haji Nurul Islam)। পরিবার সূত্রে খবর, সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসকরা তাঁর বাড়িতে পৌঁছন। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ছিলেন“। হাজি নুরুল রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী রসিদা বেগম ও ৪ সন্তানকে। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন হাজি নুরুল। তাঁর অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তাঁকে। অসুস্থতার কারণে প্রচারেও খুব বেশি বেরোতে পারেননি তৃণমূল প্রার্থী। দীর্ঘ দিন ধরে কলকাতার অ্যাপোলোতেও চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এদিন দুপুরে দত্তপুকুরে নিজের বাড়িতেই বেলা ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।শোকবার্তায় তৃণমূল সুপ্রিমো লেখেন,
“আমার শ্রদ্ধেয় সহকর্মী, বসিরহাটের সাংসদ হাজি শেখ নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি একটি প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ছিলেন। অনগ্রসর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। বসিরহাটের মানুষ তাঁর নেতৃত্বের অভাব বোধ করবে। আমি তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।“
Sad to know of the demise of my valued colleague, our MP of Basirhat, Haji Sk. Nurul Islam.
He was a dedicated social worker in a remote Sundarban area, and he worked hard for the upliftment of poor people in a backward region. People of Basirhat will miss his leadership.
I…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 25, 2024
১১ নভেম্বর ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন হাজি নুরুল ইসলাম। খোরকি সিনিয়র মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন। ছোট থেকেই রাজনীতি ও সমাজসেবার দিকে তার ঝোঁক ছিল। সক্রিয় রাজনীতিতে এসে ২০০৯ সালে বসিরহাট লোকসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৪ এবং ২০২১ পরপর দুবারই তিনি হাড়োয়া বিধানসভা থেকে জয়ী হন। ২০২৪ সালে আবার তিনি বসিরহাট লোকসভা থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। অকাল প্রয়াণে এলাকায় শোকের ছায়া সব মহলে।