বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। তার আগে আঁটোসাটো নিরাপত্তায় মোড়া সম্প্রতি জঙ্গি নাশকতার কবলে পড়া পুঞ্চ, গান্ডোরবাল, বদগামের মতো জেলা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নাকাতল্লাশির পাশাপাশি নজরদারিতে জোর ভারতীয় সেনা ও নির্বাচন কমিশনের। বুধবার কাশ্মীরের ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের (assembly constituency) নির্বাচন হবে। ছয় জেলায় এই কেন্দ্রগুলিতে ভোট দেবেন ৫.৭ লক্ষ মানুষ।
এর আগে প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর। ২৪টি বিধানসভার জন্য নির্বাচনে সামগ্রিক ভোটদানের হার (poll percentage) ছিল ৬১.১৩ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন (Election Commission of J&K) ভোটদানের হারে খুশি হলেও আদতে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ভোটদানের হার যথেষ্ট কমই ছিল বলে দাবি রাজনীতিকদের। কাশ্মীরে এবারের নির্বাচন মর্যাদার লড়াই বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। রাজ্যের স্বীকৃতি আদায় করে জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (Union Terriroty) তকমা ঘোঁচানোর পাশাপাশি নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির সরকার গঠনের লড়াই।
বুধবার নির্বাচনে ২৩৯ প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেবেন কাশ্মীরের মানুষ। তার মধ্যে অনেকেই হেভিওয়েট। ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) প্রার্থী হয়েছেন গান্ডেরবাল (Ganderbal) থেকে। ভাগ্য নির্ধারিত হবে কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররার। সেই সঙ্গে বুধবারই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রবিন্দর রায়নাও।
যেহেতু এই দফায় স্পর্শকাতর (sensetive) বেশিরভাগ এলাকায় নির্বাচন তাই নিরাপত্তার কড়াকড়িও এই দফায় সর্বোচ্চ। নির্বাচন ঘোষণার আগে গোটা কাশ্মীরে যে পরিমাণ সেনা মোতায়েন ছিল, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার অতিরিক্ত বাহিনী ও ৫০০ প্যারা কম্যান্ডো। ওড়িশা থেকে তুলে আনা হয়েছে ২ হাজার বাহিনী ও মনিপুর থেকে অসম রাইফেলসের ২০০০ বাহিনীও কাশ্মীরে রাখা হয়েছে।