আর জি করের চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই সময় তাকে সমর্থন করে প্রাসঙ্গিত থাকার চেষ্টা করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার সদর্থক পদক্ষেপের ফলে যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তখন আন্দোলনকের ছোট করতে আসরে নেমেছেন BJP নেতারা। সোমবার, অশোক দিন্দার (Ashok Dinda) পরে মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) কটাক্ষ করে বলেন, “এত নাটক করে কী লাভ হল?“এদিন পূর্ব বর্ধমানে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “এত নাটক করে কী লাভ হল?“ দিলীপের মতে, যাঁরা বদলি হলেন, তাঁরা নাকি সবাই প্রোমোশন পেয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কথায়, “মোমবাতি জ্বেলে, তালি দিয়ে কী হল? কেন অহেতুক মানুষ দেড় মাস কষ্ট করলেন? হাসপাতালের যে অব্যবস্থা, তার কি কোনও পরিবর্তন হল? এই প্রশ্ন মানুষের মুখে ঘুরছে।” এর আগে অশোক দিন্দা বলেন, ”ডাক্তারররা তো আন্দোলন শুরু করেছিলেন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। অভয়ার বিচার চেয়ে তা তাঁরা পথে নামেননি। যেসব দাবি নিয়ে ডাক্তাররা আন্দোলন শুরু করেন সেগুলো তো নিজে থেকেই হয়ে যেত। বিনীত গোয়েলও সরে যেতেন। তার জন্য এভাবে আন্দোলন করা অর্থহীন।”
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে প্রকাশ্যেই সমর্থনের কথা বলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে গো ব্যাক শুনে ফিরে আসতে হয়েছিল বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে চিকিৎসকদের ধর্নায় সক্রিয়ভাবে দেখা গিয়েছে বিজেপির একাধিক নেত্রীকে। আর সেই দলের নেতারাই এখন এই আন্দোলনকে হেয় করছেন।
দিলীপের মন্তব্য নিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) সাংসদ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, ”দিলীপের বক্তব্য নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। আর জি করে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত দোষীদের কঠোরতম শাস্তি চাই। আমার দলও বিচার চাইছে।” থ্রেট কালটার নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন কুণাল। বলেন, ”আর যে থ্রেট কালচারের কথা উঠছে সেটা তো দিলীপ ঘোষের উপর হয়েছে। যেদিন থেকে দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমানে ভোটে দাঁড় করানো হয়। এটাই তো থ্রেট কালচারের নমুনা।”
দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্য নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের প্রশ্ন, রাজনৈতিক নেতা হয়ে তরুণীর বিচারের জন্য কী করেছেন দিলীপ? আন্দোলনকারীদের মতে, “আমরা ছাত্ররা আন্দোলন করেছি বিচারের জন্য। যতক্ষণ বিচার না পাব, আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি এত কেন পিছনে, সেই বিষয়ে তাঁর কী বক্তব্য? সেটা তিনি বলুন।”
এবার দলীয় নেতৃত্বের মন্তব্য নিয়ে গেরুয়া শিবির কী সাফাই দেয় সেটাই দেখার।