বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি,  রবিবার উদ্ধার ৮ মৎসজীবীর দেহ

0
2

ফের মাঝ সমুদ্রে ট্রলার ডুবি। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ৯ জন মৎসজীবীর মধ্যে ৮ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। শুক্রবার গভীর রাতে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে টর্নেডোর কবলে পড়ে ডুবে গিয়েছিল ট্রলার। বাঘের চর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ডুবে যায় এফবি বাবা গোবিন্দ নামে ট্রলারটি। নিখোঁজ ছিলেন নয় মৎস্যজীবী।  রবিবার ৮ মৎস্যজীবীর মৃতদেহের হদিশ মিলল। মাছের জালে জড়িয়ে রয়েছে দেহগুলি। সেগুলি উদ্ধার করে ইতিমধ্যে শনাক্তকরণ চলছে।

কাকদ্বীপ ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে টর্নেডোর জেরে জলের ঘূর্ণিপাকে পড়ে এফবি বাবা গোবিন্দ নামে ট্রলারটি এবং কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি উলটে যায়।অন্যান্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরা এই ঘটনা দেখতে পান। তারা এসে ৮ জনকে উদ্ধার করেন।মৎস্যজীবীদের অনুমান ছিল, বাকিরা ওই ট্রলারের কেবিন রুমের মধ্যে আটকে রয়েছেন। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী সংগঠন শনিবার রাতভোর কাজে লাগায় তিনজন ডুবুরিকে।

রবিবার বেলা বাড়তেই ডুবে যাওয়া ট্রলারটি নামখানার হরিপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। এরপর ট্রলারের কেবিন ঘর থেকে জল খালি করতেই উদ্ধার হয় ৮ মৎস্যজীবীর মৃতদেহ।জানা গিয়েছে, দেহগুলি মাছ ধরার জালে জড়িয়ে ছিল।দেহগুলি উদ্ধারের পর তাদের পরিজনদের খবর দেওয়া হয়।শনাক্তকরণের পর মৃতদেহ কাকদ্বীপ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে।এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও-সহ পুলিশ আধিকারিকরা। উপস্থিত আছেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার। রয়েছেন কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টু রাম পাখিরাও।