তরুণী চিকিৎসক খুন-ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে দেড় মাসেও কিনারায় পৌঁছাতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তার বদলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভুল ত্রুটির দিকে রাজ্যবাসীর নজর ঘুরিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। রাজ্যের শাসকদল যদিও যে কোনও ক্ষেত্রে অপরাধীদের আইনানুগ শাস্তির পথেই হেঁটেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বাম আমলের স্বাস্থ্য সরঞ্জাম (Medical Kit) দুর্নীতি যা শুধুই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ফাঁপা করে দেয়নি, রীতিমত ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে সেই দুর্নীতি।
আর জি করের ঘটনার পরে একদিকে সাধারণ মানুষ থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল যখন বিচারের দাবিতে বারবার সিবিআই-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তখন বামেরা উস্কানি দিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছে। বিজেপি যখন হিংস্র পথে নবান্ন অভিযানে উস্কানি দিয়েছে, তাতেও ইন্ধন দিয়ে পিছপা হয়নি সিপিআইএম (CPIM)। তবে সিপিআইএমের আমলেই এযাবৎকালের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য দুর্নীতি ছিল মেডিক্যাল কিট (medical kit) কেলেঙ্কারি, স্মরণ করালেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ।
২০০৪ সালে সরকারি হাসপাতালের রক্ত পরীক্ষার কিট (blood test kit) সরবরাহের বরাত পায় গোবিন্দ সরদার ও ঘনশ্যাম সরদার পরিচালিত সংস্থা মনোজাইম ইন্ডিয়া। ২০০৫ সালে হঠাৎই রাজ্যে রক্তবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলে তা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। উঠে আসে মেয়াদ উত্তীর্ণ (expired) কিট দিয়ে রক্ত পরীক্ষার কারণে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পেতে আসা মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন গ্রেফতারও হন দুই ভাই। কিন্তু তারা জেল থেকে ছাড়া পেতেই তৎকালীন বাম সরকার দ্রুত সেই মামলা ধামাচাপা দিয়ে দেয়।
তৃণমূল সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে। হাসপাতালের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে পরিষেবার মান। কিন্তু তার মধ্যেও কোনওভাবে দুষ্টচক্র মাথাচাড়া দিয়ে থাকলে রাজ্যের সরকারই সেই দুষ্টচক্র মিটিয়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর দাবি করে কুণাল ঘোষ বলেন, “এরাজ্যে মেডিকেল কিট (medical kit) কেলেঙ্কারি ধরা পড়ে। নষ্ট, ব্যবহৃত সরঞ্জাম ব্যবহার, টেস্টের ভুল ফল, রোগ ছড়িয়ে পড়া সামনে আসে। এমন ভাব করবেন না যে প্রথম শুনছেন। চিন্তা এখানে, যে, ঘুঘুর বাসা, চক্রের জাল আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। এটা আগে এই সরকার থামিয়েছিল, আবার থামাবে।”