রাজনৈতিক পালাবদলেও পরেও হিংসা, সন্ত্রাসের আগুন জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবনে সংঘর্ষে মোট ৪০ জন সংখ্যালঘু জনজাতির বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ১০০ বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবাদ করায়, সেনার গুলিতে বৃহস্পতিবার তিন আদিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলছে। বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনজাতির উপর হামলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন ত্রিপুরার শিল্প-বাণিজ্য ও কারামন্ত্রী সান্তনা চাকমা।অভিযোগ, চট্টগ্রামের (Chattogram) আদি বাসিন্দা চাকমা ও অন্যান্য জনজাতি গোষ্ঠীর উপর গত ৭২ ঘণ্টা ধরে লাগাতার হামলা চলছে। অন্তত ১০ জন সংখ্যালঘু খুন হয়েছে। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, কুকি, ব্রু ও অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাজারের বেশি বাড়িঘর, ধর্মস্থান, দোকান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সন্ত্রাস দমনের অছিলায় বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনা, বিজিপি এবং ব়্যাব বাহিনী সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়িতে তিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমাকে বাংলাদেশ সেনা গুলি করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। আত্মরক্ষার্থেই গুলি বলে সাফাইও দিয়েছে তাঁরা।
আরও পড়ুন:পুজোর আগেই নয়া রূপে ‘গ্লোব’ দর্শন কলকাতার সিনেপ্রেমীদের!
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে ভারতে জনজাতিদের একাধিক সংগঠন। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আটকানোর নামে সেই সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্বিচারে হামলা হচ্ছে অভিযোগ। ত্রিপুরার শিল্প-বাণিজ্য ও কারামন্ত্রী সান্তনা চাকমাও তাঁর লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন। মোদিকে লেখা চিঠিতে চাকমা ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সুহাস চাকমা, ভারতের ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিইলস ট্রাইবের সদস্য নিরুপম চাকমা ও মিজোরামের বিধায়ক রশিক মোহন চাকমা চট্টগ্রামে চাকমাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.