আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে জানাল সিবিআই। পাশাপাশি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হলেও তারা দুজনে সরাসরি ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে যুক্ত নন বলেও এদিন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে, ধৃত সন্দীপ এবং অভিজিৎকে আগামী ৩ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত।

আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গত শনিবার অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সে দিনই ওই একই অভিযোগ আনা হয় সন্দীপের বিরুদ্ধে। সিবিআই মঙ্গলবার জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে সন্দীপ এবং অভিজিৎকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। তাই তাদের আরও হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করে সিবিআই। এরপর সিবিআই এর আবেদনে মান্যতা দিয়ে তাদের আরও ৩ দিনের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সিট সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভয়েন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। সঞ্জয়ও বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে। এরপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকেও তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে গ্রেফতার করে। তবে সরাসরি তাঁরা খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত নন বলেই মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে জানায় সিবিআই।
আরও পড়ুন- অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জির রায় রিজার্ভ রাখল আদালত








































































































































