প্রতিশ্রুতি পালন: সরানো হল ২ স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও

0
3

বিনীত গোয়েল, অভিষেক গুপ্তার পাশাপাশি দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও সরানোর কথা সোমবারই জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রতিশ্রুতি মতো মঙ্গলবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হল সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস হালদারকে।মঙ্গলবার, নবান্ন থেকে জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস হালদারকে সরানো হল। দেবাশিসকে বদলি করা হয়েছে জনস্বাস্থ্যের স্পেশাল অফিসার অন ডিউটি পদে। স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদে থাকা কৌস্তভ নায়েক ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ এবং‌ ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা হচ্ছেন। রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা হচ্ছেন স্বপন সোরেন। তবে এদিন নতুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার নাম এদিন ঘোষণা করা হয়নি। তার বদলে ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর পদে থাকা সুপর্ণা দত্তকে অস্থায়ীভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা OSD করা হল। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা পদে নিয়োগের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞ এবং অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। সেই কারণে আপাতত এই পদে স্থায়ী কাউকে রাখা হয়নি।

আন্দোলনকারীদের দ্বিতীয় দাবি ছিল- স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকার তা তিনজনকে সরাতে হবে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন সবাইকে সরিয়ে দিলে কাজ করবে কে? সেই কারণেই তিনি ডিএমই এবং ডিজিএসকে সরানো হবে বলে জানান। “যদিও তাঁরা বেশিদিন কাজ করছেন না। তাঁদের কাউকে অসম্মান করিনি। কিন্তু যেহেতু চিকিৎসকরা তাঁদের চাইছেন না, তাই তাঁদের সরানো হচ্ছে।”

সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনকারীদের দ্বিতীয় দাবি ছিল- স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকার তা তিনজনকে সরাতে হবে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন সবাইকে সরিয়ে দিলে কাজ করবে কে? সেই কারণেই তিনি ডিএমই এবং ডিজিএসকে সরানো হবে বলে আশ্বাস দেন। বলেন “যদিও তাঁরা বেশিদিন কাজ করছেন না। তাঁদের কাউকে অসম্মান করিনি। কিন্তু যেহেতু চিকিৎসকরা তাঁদের চাইছেন না, তাই তাঁদের সরানো হচ্ছে।” সেই মতোই তাঁদের সরানো হল। এখন প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী তো তাঁর সব প্রতিশ্রুতি পালন করলেন, এখন জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন কি? সে দিকেই তাকিয়ে বাংলার সাধারণ মানুষ।