এক দেশ-এক ভোট আসলে বিজেপির একটি ‘গিমিক’, মোদি সরকারকে তোপ ডেরেকের

0
2

যারা হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের আয়োজন করতে পারে না, তারা কিভাবে সারা দেশের ভোটের আয়োজন করবে একসঙ্গে? মোদি সরকারকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস৷ এই প্রসঙ্গেই বিজেপি তথা মোদি সরকারকে তীব্র ভাবে নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ান৷

বিভিন্ন স্তর থেকে দাবি জানানো হচ্ছে তৃতীয় মোদি সরকার তাদের এই কার্যকালেই এক দেশ-এক ভোট নীতির প্রয়োগ করে ফেলবে৷ গোটা বিষয়টিকে একটি রাজনৈতিক ‘গিমিক’ হিসেবেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস, সোমবার স্পষ্ট করেছেন দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন৷ এই প্রসঙ্গেই তাঁর সওয়াল, গণতন্ত্র বিরোধী বিজেপির আর একটি গিমিক হল এক দেশ-এক ভোট৷ হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের সঙ্গে কেন মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের আয়োজন করা হল না? কারণ হল, মহারাষ্ট্র সরকার জুনে তাদের বাজেটে লড়কি বহিন প্রকল্প অনুমোদন করেছে৷ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত মহিলাদের হাতে প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছেছে আগস্টে৷ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মহিলাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে পৌঁছনোর কথা অক্টোবরের মাঝামাঝি৷ এই প্রসঙ্গেই ডেরেকের কটাক্ষ, তিনটি রাজ্যে একসঙ্গে ভোটের আয়োজন করতে পারছে না, তারাই আবার এক দেশ এক ভোট নীতির কথা বলছে ! সব বকোয়াস !

ঘটনা হল, বিভিন্ন সূত্র মারফত তৃতীয় মোদি সরকার রটাতে শুরু করেছে যে তাদের কার্যকালেই কার্যকর করা হবে এক দেশ-এক ভোট নীতি৷ ২০২৯ সালের মধ্যেই সারা দেশে চালু করা হবে নতুন এই ভোট পদ্ধতি৷ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশও আছে মোদি সরকারের হাতে৷ এই ক্ষেত্রে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাবে তারা, এমনও দাবি জানানো হচ্ছে সরকারের তরফে৷ তৃতীয় মোদি সরকারের এই দাবির সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ গোটা ইস্যুতে দ্বিমত আছে সরকারের শরিকদের মধ্যেও৷ সূত্রের দাবি, এনডিএ-র সদস্য অনেক শরিক দলই চায় না এক দেশ-এক ভোট নীতি প্রয়োগ করতে৷ এই আবহে সোমবার এক দেশ-এক ভোট নীতি প্রসঙ্গে মোদি সরকার তথা বিজেপিকে সরাসরি নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন৷

আরও পড়ুন- ভারতের সামনে নামার আগে অনন্য নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে শাকিব, ছুঁতে পারেন কপিল দেবকে