হার দিয়ে কলকাতা লিগের অভিযান শেষ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এদিন পুলিশ এসির কাছে ২-৩ গোলে হারল সবুজ-মেরুন। যার ফলে কলকাতা লিগে শেষ ম্যাচে খালি হাতেই মাঠ ছাড়ল মোহনবাগান । প্রথারধেই ২ গোল খেয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ে। ম্যাচে শেষদিকে ২ গোল মোহনবাগান শোধ করলেও তা যথেষ্ট ছিল না।
ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। তবে ম্যাচে ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশকে গোল করে ১-০ এগিয়েদেন শেখ আসিফ আহমেদ। ডান পায়ের দূরপাল্লার শটে গোল করেন শেখ আসিফ আহমেদ। তবে এই গোলের ক্ষেত্রে মোহনবাগান গোলকিপার অভিষেক বালোয়ারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। বল তাঁর সামনে ড্রপ পড়ে উঠে যায় আগেই বলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ায় নাগাল পাননি অভিষেক। দ্বিতীয় গোলও আসে মোহনবাগান ডিফেন্সের ভুলেই। ৩২ মিনিটে বিশ্বজিতের সেন্টার হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে ব্রিজেশ তা গোলে ঢুকিয়ে দেন। মোহনবাগান যে আক্রমণে ওঠেননি তেমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। আসলে পুলিশ এসি-র এই ম্যাচটা জিততেই হত। এর ফলে রেলিগেশন রাউন্ডে নামার আগে কিছুটা হলেও এগিয়ে গেল হীরক মন্ডলের দল। এদিন রবি বাহাদুর রানা, সুমিত রাঠিদের দেখে বেশ অবিন্যস্ত লেগেছে। দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ উঠে আসেনি। আবার মাঝখান দিয়েও নিরন্তর আক্রমণ তুলে পুলিশ ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরাতে পারেনি দেগি কার্ডোজোর দল।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে ফের ধাক্কা মোহনবাগেনের। সুখচাঁদ কিস্কুর ফ্রি কিক কোনওমতে ফিস্ট করে বের করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর ফিস্ট ঠিকমতো না হওয়ায় বল চলে যায় আশিস বক্সির কাছে। তাঁর শট সোজা গোলে ঢুকে যায়। তবে এরপর ব্যবধান কমায় মোহনবাগান। ৮৮ মিনিটে এনসন একটি গোল শোধ করেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে একক দক্ষতায় দুরন্ত গোল করেন মোহনবাগানের ভিয়ান। তবে সময়ের অভাবে সমতা ফেরাতে পারেনি সবুজ-মেরুন।
১২টা ম্যাচের চারটে জয়, চারটে ড্র আর সম সংখ্যক হার নিয়ে লিগ শেষ করল মোহনবাগান। অন্যদিকে এই জয়ের ফলে অনেকটাই অক্সিজেন পেল পুলিশ দল।
আরও পড়ুন- বিনেশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, ব্রিজভূষণের উপর নিষেধাজ্ঞা BJP-র