ভিনরাজ্যে খুন বাংলার ছেলে, রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকারি সুবিধা! প্রতিবাদ মিছিলে সরব INTTUC-র

0
1

বিজেপির রাজ্যে গিয়ে খুন হচ্ছেন বাংলার শ্রমিক। আর ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্য সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন। এটাই তফাৎ ডবল ইঞ্জিন সরকার আর বাংলার তৃণমূল সরকারের মধ্যে। হরিয়ানায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক খুনের প্রতিবাদ মিছিল থেকে আওয়াজ তুলল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC। রবিবার ডোরিনা ক্রসিং থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়। ছিলেন INTTUC রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabrata Banerjee), তৃণমূল অনুমোদিত অল বেঙ্গল তৃণমূল জুট অ্যান্ড ট্রেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ানের সভাপতি সোমনাথ শ্যাম (Somnath Shyam), স্বপন সমাদ্দার, অভিজিৎ ঘটক (পঃবর্ধমান আইএনটিটিইউসির সভাপততি), তাপস গুপ্ত (বারাসত আইএনটিটিইউসি সভাপতি), অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় (দক্ষিণ কলাকাতা আইএনটিটিইউসির সভাপতি), অরবিন্দ দাস (হাওড়া সদর আইএনটিটিইউসির সভাপতি), নির্জল দে (দার্জিলিঙ জেলা সমতলের আইএনটিটিইউসির সভাপতি), সামিরুল ইসলাম প্রমুখ।। ছিলেন রাজ্য কোর কমিটির সদ্যসরা।বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার শ্রমিকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলের শেষে পথসভা থেকে ভিনরাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন INTTUC-র রাজ্য সভাপতি। বলেন “গোটা দেশ জুড়ে যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণ বিশেষত বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বেছে বেছে ক্রমাগত যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর হামলা তার প্রতিবাদেই এই মিছিল” তাঁর কথায়, “আমাদের রাজ্যেও বাইরের রাজ্যের প্রায় ১ কোটি মত পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। কোথাও কোন এমন আক্রমণ হয়েছে বলে জানা নেই। যারা বাইরের রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথীর ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্তি করেছেন। স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য তাঁদের পরিবারের জন্য সাহায্য ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু-সহ অন্যান্য ঘটনা, এমনকী বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনা সময়েও রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ৬ কোটি টাকা ৭০০ পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারেরর হাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সেনাপতিত্বে এই যে লড়াই মানুষের লড়াই চলছে। বাঙালি হওয়া কোন অপরাধ নয়। বাংলা ভাষায় কথা বলা কোন অপরাধ নয়। মাছ খাওয়া কোন অপরাধ নয়।”সাবির খুনের প্রতিবাদে মিছিল থেকে সরব হন সোমনাথ শ্যাম। তাঁর কথায়, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলার শ্রমিকের খুনের প্রতিবাদ সর্বস্তরে হওয়া উচিৎ।