স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-খুন, ১৪ মাসে ফাঁসির সাজা শিলিগুড়ি আদালতের

0
2

মাটিগাড়ার স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১৪ মাসের মধ্যে বিচার পেল পরিবার। অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল শিলিগুড়ি আদালত। বিরলতম ঘটনা হিসাবে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় নিশ্চিন্ত মৃতার পরিবার। যদিও এই রায়ের পাল্টা উচ্চ আদালতে যাওয়ার দাবি করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী। রাজ্য সরকার যখন ধর্ষণ বা মহিলাদের যৌন হেনস্থার মতো অপরাধ আটকাতে দ্রুত তদন্ত, বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিয়ে আইন তৈরিতে তৎপরতা নিয়েছে, সেই সময়ই শিলিগুলি মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিল নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারকে।

ধর্ষণের মতো অপরাধে কঠিন শাস্তি বদলাতে পারে অপরাধ প্রবণতা। এই দাবি তুলে রাজ্য প্রশাসন নতুন বিল আনছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বিচারও নির্যাতিতা ও তাঁদের পরিবারের দাবি। ঠিক সেভাবেই শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণ করে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবক। ২০২৩ সালের ২১ অগাস্টের এই ঘটনায় বাধা পাওয়ায় খুন করার অভিযোগ। সেই সঙ্গে পরিচয় প্রকাশিত যাতে না হয়, তার জন্য পাথর দিয়ে থেঁৎলে দেওয়া হয় নির্যাতিতার মুখ। ঘটনার পরই তৎপর হয় মাটিগাড়া থানার পুলিশ। ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাস।

ঘটনায় দ্রুত তদন্ত শেষ করে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে সক্ষম হয় মাটিগাড়া থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্তের পক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে শিলিগুড়ি আদালতে মামলার শুনানিতে দেরি হয়। নাহলে মার্চমাসে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয় সাজা ঘোষণাও হয়ে যেত বলে দাবি সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন, প্রমাণ লোপাটের মত গুরুতর অভিযোগ আনে পুলিশ। সেই সঙ্গে ধর্ষণের সময়ই নির্যাতিতার মৃত্য়ু হওয়ার ঘটনাকে বিরলতম বলেও দাবি করা হয়।

বৃহস্পতিবারই আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত। শুক্রবার সাজা ঘোষণার কথা থাকলেও, শনিবার সেই সাজা ঘোষণা হল। শিলিগুড়ির মহিলারা সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে আদালত চত্বরের বাইরে এদিন একত্রিত হয়েছিলেন। আদালত সাজা ঘোষণা করতেই তাঁরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে যেখানে গোটা রাজ্য সিবিআই-এর কাছে দ্রুত বিচার দাবি করছে, সেখানে মাটিগাড়া থানা দ্রুত শাস্তির পথ তৈরি করে দিয়ে নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের।