হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের হাতে গোনা দিন বাকি। তা সত্ত্বেও দলের কোন্দল মেটাতে পারছে না রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। প্রার্থীপদ না পেয়ে চোখের জলে ভাসছেন একের পর এক প্রাক্তন বিধায়ক। উল্টোদিকে বিনেশ ফোগাতকে প্রার্থী ও বজরং পুনিয়াকে কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বে এনে পাশা পাল্টাতে চেষ্টা করছে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে অবশ্য আপের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে জট কাটাতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে কংগ্রেস হাই কম্যান্ড।
বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই সামনে এসেছে পদত্যাগের হিড়িক৷ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য, হেভিওয়েট বিধায়ক থেকে বাহুবলী, দল ছেড়েছেন সব শ্রেণীর নেতারাই৷ এর মধ্যে আছেন বালকোর সিংয়ের মত প্রাক্তন বিধায়কও৷ বালকোর কংগ্রেসে যোগদান করবেন বলে বিজেপি সূত্রেই দাবি জানানো হয়েছে৷ তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন অনেক বিক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতাই৷
এই পরিস্থিতিতে যতটা সুখে থাকার কথা কংগ্রেসের, ততটা সুখ নেই হাত শিবিরে। আপের সঙ্গে আসন সফায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রবীন নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা। নিজের পছন্দের আসনে আপকে প্রার্থী পদ ছাড়া হলে ভোটে কোনও দায়িত্ব পালন তিনি করবেন না এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। হুডার মত কুমারী শৈলজাও নিজের অনুগামী নেতাদের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিটের জন্য লাগাতার তদ্বির করছেন বলেই সূ্ত্রের দাবি৷
যদিও আপ শিবির আসন রফা নিয়ে আশাবাদী। রাঘব চাড্ডার মতো নেতারা লাগাতার বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ভোট ব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ হরিয়ানার কৃষকরা। শুক্রবার কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে অল ইন্ডিয়া কিষাণ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের পাশে থেকে তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বজরং।
আরও পড়ুন- দিল্লির স্কুলে শিক্ষকের হাতে নিগৃহীত ১১ বছরের নাবালিকা, গ্রেফতার শিক্ষক