বছরের পর বছর ধরে মেট্রোর কাজ চলছে বউবাজারে (Metro work in Bowbazar)। আর KMRCL এর এই কাজের জেরে দফায় দফায় ভিটে ছাড়া হতে হচ্ছে দুর্গা পিতুরি লেনের (Durga Pituri Lane) বাসিন্দাদের। এবার ভাঙলো সহ্যের বাঁধ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুড়ঙ্গে শ্যাফটের নীচে জল বেরিয়ে আসায় বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিতেই সকাল থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নোটিস দেওয়া ছিল অন্যত্র থাকার জন্য। কিন্তু ২ তারিখই ঠিকানায় ফেরানো হয়। তাঁদের বক্তব্য, কেন তিন আগে আনা হল, কেনই বা আবারও ঘরছাড়া হতে হচ্ছে? এদিন মেট্রো (Kolkata Metro) আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজনা ছড়ায়। সাময়িকভাবে বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিট অবরোধ করা হয়। কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-সহ (Biswarup Dey) এলাকার বাসিন্দারা সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বলে জানা যায়।
২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল সমস্যা, ২০২৩ সালে বউবাজারে মেট্রোর কাজ ঘিরে নিরাপত্তাজনিত বড় আশঙ্কা তৈরি হয় এলাকাবাসীর মনে। তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও দুর্গা পিতুরি লেনে মেট্রোর ক্রসপ্যাসেজ নির্মাণের সময় আবারও বাধা ‘ওয়াটার লিকেজ’। ৯ নম্বর দুর্গাপিতুরি লেনে হাওড়া থেকে শিয়ালদহগামী মেট্রোর লাইনের কাজ চলছে। যার ফলে রাতারাতি ৫২ জন বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটাই চটেছেন সেখানকার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য কেন কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর তাঁদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না। বারবার এই ধরনের হয়রানির বিরুদ্ধে আজ সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের ভেতরে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। অফিস টাইমে সাময়িকভাবে সমস্যায় পড়েন মেট্রোযাত্রীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন রেল পুলিশ মেট্রো আধিকারিকরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “এ যে কী দুর্ভোগ যাদের হয় তারাই বোঝে। দু’দিন বাদে বাদে শিফ্ট করা সত্যিই কি খুব সহজ? মাঝরাতে শিফ্ট করতে হলে যা যা ভোগান্তি হয়, আমাদেরও হচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে জানান যে, ২০১৯ থেকে ঘটে চলেছে এই ঘটনা। যখনই এই ঘটনা ঘটছে সকলে বলছে আর হবে না। পাঁচ বছর শেষ হয়ে ছ’ বছর হয়ে গেল, কেউ তো দায়িত্বই নিচ্ছে না। দুদিন আগেই কাজ হয়ে গেছে বলে ফিরে আসা নির্দেশ দেয়ার পর আবার ভিটে ছাড়া হতে হচ্ছে।
KMRCL সূত্রে খবর, দুর্গা পিতুরি লেনে দু’টি টানেলকে যেখানে যুক্ত করা হচ্ছে, তারই মাঝখান থেকে ওই পাইপের মধ্যে দিয়ে জল বেরোতে দেখা যায়। যদিও জলের স্রোতের গতিবেগ অত্যন্ত কম ছিল বলেই সূত্রের খবর।