একদিকে সরকারি পরিষেবা বন্ধ। অন্যদিকে সরকারের ঘাড়ে বিপুল অঙ্কের খরচ চাপছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে গোটা রাজ্য জুড়ে। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে হাসপাতালে পরিষেবা হয়ে গিয়েছে অর্ধেক। বেড়ে গিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার প্রবণতা। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা নেওয়া বেড়েছে, এমন তথ্য পেশ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ফলে এই খাতে রাজ্যের খরচ বাড়ছে দ্বিগুণ।
হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা ও গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছেন। পাশাপাশি সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে রোগী ভর্তির পরিমাণও ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। প্রতি সপ্তাহে রাজ্যে সব মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার হয়। ১০ অগস্ট ডাক্তারদের কর্মবিরতি চালু হওয়ার পর থেকে তা ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি হাসপাতালের রোগী পরিষেবা ব্যহত হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে খরচের ঝোঁক বেড়েছে। যার ফলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেও বাড়তি খরচ হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালগুলির বিল মেটাতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় ১৫০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। এজন্য দৈনিক গড়ে প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আগে এই অঙ্ক ছিল ৩ কোটি টাকা। এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতির জেরে আরজি কর সহ শহরের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে হেল্প ডেস্ক চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের সরকারি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিতে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে ওই হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে।