বুকে প্রবল ব্যথা দাদার। খিদিরপুর এক ব্যক্তি ভাইকে নিয়ে আসেন রাজ্যের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এসএসকেএমের (SSKM Hospital) কার্ডিওলজি বিভাগে। কিন্তু আসার পরই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হল তাঁদের। ওই ব্যক্তির কথায়, ডাক্তারবাবু নেই। তাই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা কে কবে ছুটি নেবেন, শুধু সেই আলোচনাতেই ব্যস্ত। রোগীর দিকে ফিরেই তাকাচ্ছেন না। রোগীর পরিবারের কোনও কথাতেই কান দিচ্ছিলেন না তাঁরা। প্রায় হাতে পায়ে ধরে কাজ উদ্ধারের চেষ্টা করেন।


এসএসকেএমের (SSKM Hospital) এমারজেন্সি বিভাগের সামনে দাদাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ডাক্তারদের লাগাতার কর্মবিতরিতে জেরে হাসপাতালের এমন অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ চাপা দিতে পারেননি। বলেই ফেললেন, “প্রায় আধ ঘণ্টা ওখানে রোগীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। শুধু ডাক্তারকে ফোন করছে। আর গল্প করে চলেছে। কে কবে ছুটি নেবে। ছুটিতে কে কী করবে, সেইসব নিয়ে শুধু কথা তাঁদের। একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে এসেছি। তাঁর বুকে ব্যথা করছে। কিছু ওষুধ তো দেবে সাময়িক সুস্থ করতে। সেটুকুও করলেন না ওঁরা। কে কবে ছুটি নেবেন তা নিয়েই ব্যস্ত। অদ্ভুত।”

প্রায় দিশাহারা হয়ে কার্ডিওলজি থেকে আবার এমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে এলেন রোগীকে। হাতে প্রেসক্রিপশন আর ইসিজি রিপোর্ট। এবার বললেন, “এখানে কিছুই হবে না। রোগীকে বাঁচাতে আমাকে এখন বেসরকারি কোথাও নিয়ে গিয়ে দেখাতে হবে।” এই ভোগান্তির জন্য কর্মবিরতি আন্দোলনকেই সরাসরি দায়ী করলেন দাদার চিকিৎসা করাতে আসা ওই ব্যক্তি। বললেন, “আর জি করের ওই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিচার চেয়ে আমরা চিকিৎসকদের পাশে আছি। কিন্তু চিকিৎসকরাই আমাদের পাশে থাকলেন না।”

আরও পড়ুন: কর্মবিরতিতে ছুটির মেজাজ আর জি করে, স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ মোবাইলে খেলছেন গেম, কেউ দিচ্ছেন ভাতঘুম








































































































































