ধর্ষণে অভিযুক্ত CPM বিধায়কের পাশে LDF! পদত্যাগ দাবি CPI নেত্রী অ্যানির, পাশে বৃন্দাও, কটাক্ষ কুণালের

0
3

ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত CIPM বিধায়ক তথা অভিনেতা মুকেশের পাশে দাঁড়াল কেরালার বাম জোট। জোটের নেত্রীদের মতামত অগ্রাহ্য করেই  বৃহস্পতিবার, কেরালা সিপিএমের নেতা ক্ষমতাসীন বাম জোট এলডিএফের আহ্বায়ক ই ডি জয়রাজন জানিয়ে দিলেন মুকেশের ইস্তফা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ এলডিএফের আর এক বাম শরিক সিপিআইয়ের নেত্রী অ্যানি রাজা বুধবার মুকেশের ইস্তফা চেয়ে জোটের অন্দরে সরব হয়েছিলেন। সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাটও (Brinda Karat) মুকেশের বিষয়ে দলকে কড়া সিদ্ধান্তের কথা বলেন। কিন্তু তার পরেও সিপিএম বিধায়কের পাশে LDF। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। স্যোশাল মিডিয়ায় এই খবরের শিরোনাম পোস্ট করে কুণালের টিপ্পনি, “মুকেশ সিপিএমের বিধায়ক। বাকিটা দেখেবুঝে নিন।“মুকেশ-সহ মালয়ালি চলচ্চিত্র জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগে গত সপ্তাহ থেকে উত্তাল সিনে মহল। ইতিমধ্যেই জামিন অযোগ্য ধারায় কোল্লমের CPIM বিধায়ক তথা অভিনেতা মুকেশের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে কেরালার পিনারাই বিজয়নের পুলিশ। বুধবার রাতে কোচি শহরের মারাদু থানায় ধর্ষণের এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। এর পরে দলের অন্দরেই মুকেশের ইস্তফার দাবিতে সরব হন মহিলা নেত্রীরা। বিষয়টি নিয়ে বৃন্দা কারাট স্পষ্ট জানান, বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা উচিৎ দলের। যে মহিলারা এগিয়ে এসে এই অসভ্যতার ফর্দা ফাঁস করেছেন, তাঁদেরও কুর্নিশ জানিয়েছেন বাম নেত্রী। এলডিএফের আর এক বাম শরিক সিপিআইয়ের নেত্রী অ্যানি রাজা (Annie Raja) বুধবার মুকেশের ইস্তফা চেয়ে জোটের অন্দরে সরব হন।

কিন্তু প্রগতিশীলতার কথা বলে বাম জোট মহিলা নেত্রীদের কথায় কর্ণপাত না করেই মুকেশের পাশে দাঁড়ায়। বৃহস্পতিবার জয়রাজন বলেন, “এর আগে কংগ্রেসের বিধায়ক এম ভিনসেন্ট এবং এলধোস কুন্নাপিলির বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তাঁরা কেউই ইস্তফা দেননি। আগে তাঁরা পদত্যাগ করুন। তার পরে মুকেশের সমালোচনা করবেন।“ বিষয়টা এমন যে অন্য অন্যায় কাজ করেছে বলে, নিজের অপরাধটা লঘু! যুক্তি শুনে তাজ্জব রাজনৈতিক মহল। এমনকী জোট সঙ্গী নেত্রীদের দাবিতেও তারা কর্ণপাত করছে না। জয়রাজনের কথায়, “যে কেউ, যে কোনও দাবি তুলতে পারেন। আমাদের সরকার এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, যে কোনও দোষী ছাড় পাবেন না।“

আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকে সরব স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শাসকদল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীর সর্বোচ্চ কঠিন সাজার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। আর ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে বঙ্গের বামেরা মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ দাবি করছে। অথচ এই ঘটনায় এখনও শাসকদলের কোনও যোগ সিবিআইও খুঁজে বের করতে পারেনি। অথচ দেশের মধ্যে এক মাত্র টিমটিম করে জ্বলতে থাকা কেরালায় সিপিএম বিধায়ক ধর্ষণ অভিযুক্ত হলেও, মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি তো দূরস্ত তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ডও না করে শাসকদল তাঁর দোষ ঢাকতে অপযুক্তি খাড়া করছে। এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। খবরটি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিযুক্তর রাজনৈতিক নেতার প্রকাশ করে কুণালের টিপ্পনি, “মুকেশ সিপিএমের বিধায়ক। বাকিটা দেখেবুঝে নিন।“