পেশাকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল আইএমএ

0
1

এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল এই সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন।বুধবার সংগঠন থেকে সন্দীপ এই সংক্রান্ত নির্দেশ পেয়েছেন। আইএমএ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি করে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সংগঠনের সদস্যরা কথা বলেছেন এবং মতামত নেওয়া হয়েছে অন্য চিকিৎসকদেরও।এরপরই সন্দীপকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সন্দীপকে সিবিআই এবং ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এখনও তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কিসের ভিত্তিতে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা।

আরজি করের ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মাঠে নামে আইএমএ। সংগঠনের জাতীয় প্রেসিডেন্ট আরভি অশোকানের গঠন করা কমিটির সদস্যরা সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।আইএমের সদস্যদের কাছে নির্যাতিতার পরিবার সন্দীপকে নিয়ে নানান ক্ষোভের কথা জানান। অভিযোগ, এই ঘটনায় সন্দীপের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় আইএমএ। গোটা বিষয়টি সামলানোর চেষ্টায়  সহানুভূতির অভাব ছিল বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।এই প্রসঙ্গে আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার আধিকারিকদের সন্দীপের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ জানান কমিটির সদস্যদের কাছে।

ওই নির্দেশিকায় আইএমএ আরও জানিয়েছে,কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট  সন্দীপের বিরুদ্ধে সংগঠনের অনেক চিকিৎসকই তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, তিনি এই পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। অধিকাংশই তার শাস্তির দাবি জানান। এর পরেই সন্দীপকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএমএ।

প্রসঙ্গত,গত ৯ অগাস্ট ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়। সেই সময় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকেই তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। চাপে পড়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগও করেন সন্দীপ। বর্তমানে সিবিআই ও ইডি প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। দফায় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বাড়িতেও গত রবিবার তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।এই আবহে এবার আইএমএ থেকে সাসপেন্ড হলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ।