দিল্লি আবগারি মামলায় অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিন পেলেন ভারতীয় রাষ্ট্র সমিতির (BRS) নেত্রী কে কবিতা (K Kavitha)। গত বছরের মার্চ মাসে তেলেঙ্গনার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার এক মাস পরে তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই (CBI)। চলতি মাসের শুরুতে এই মামলায় জামিন পেয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া। একমাসের মধ্যে একই মামলায় দুই জামিনে অবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আশা বাড়ার ইঙ্গিত দেখছেন আইনজীবীরা। এই মামলায় আদালত সাবধান করে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজুকে, জামিনের বিরোধিতার প্রক্রিয়া নিয়ে।
মঙ্গলবার বিচারপতি বিআর গভাই ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, একজন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে মামলা চলছে। এরপর যে কেউ এসে বললেই তাঁকে সাক্ষী বানিয়ে নেবেন? আদালতের দাবি, এটা স্বচ্ছতা নয়। কে কবিতা ইতিমধ্যেই জেলবন্দি হয়ে ৫ মাস কাটিয়েছেন। দ্রুত বিচারের সম্ভাবনা নেই। জামিন পাওয়া নিয়ে সতর্ক করা হয় নিম্ন আদালতকেও।
কবিতার (K Kavitha) পক্ষে সওয়াল করে তাঁর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল একজন দায়িত্বশীল মহিলা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে প্রমাণিত হবে। তিনি বলেন, জামিন দিলেও তদন্তে বিশেষ প্রভাব পড়বে না। তাই জামিন দেওয়া যেতেই পারে। প্রসঙ্গত, কবিতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মোবাইলের তথ্য নষ্টের যে অভিযোগ এনেছিল সে প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী বলে, কেউ তাঁর নিজের মোবাইল ফোন বদলাতেই পারেন। অযথা এমন জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে যার বাস্তব ভিত্তি নেই।
দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পরে কবিতাকে সিবিআই ও ইডি মামলায় ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। তাঁর জামিনের পর বিআরএস দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৬৪ দিন জেলে রেখেও কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এই মামলায় বিজেপির পরাজয় হয়েছে।











































































































































