যত বর্ষণ করলেন তত বর্ষণ করতে আর পারলেন না ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। নতুন দল গড়ার ঘটা করে ঘোষণা যে কতটা ভাঁওতা ছিল, তা অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর দেখা করার ছবি বেরিয়ে পড়তেই প্রমাণ হয়ে গেল। সেই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অপারেশন লোটাসের বিষয়টাও স্পষ্ট হয়ে গেল ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে লোকসভা নির্বাচনের আগে চাপে রাখতে এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে জেলে ভরে দেয় স্বৈরাচারী মোদি সরকার। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভার যায় চম্পাইয়ের কাঁধে। তবে হেমন্ত ফিরে আসার পরে চম্পাইয়ের একাধিক নীতি নিয়ে বিরোধ বাধে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। তখনই বিদ্রোহী হতে শুরু করেন চম্পাই। তবে এখন বিজেপির অলিখিত দ্বিতীয় বড় নেতার সঙ্গে দেখা করার পরে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিজের দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিলেন, আলোচনা রাজনৈতিক মহলে।
দিল্লি গিয়েছিলেন চম্পাই সোরেন। সেখানেই দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। যদিও ফিরে এসে দাবি করেন তিনি কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন না। নিজেই নতুন দল গঠন করবেন। সঙ্গী হিসাবে কাউকে পেলে তাঁর সঙ্গে এগোবেন। তবে এসব যে শুধুই আখের গোছানোর গল্প ছিল তা স্পষ্ট হয়ে গেল সোমবার রাতে অসম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে।
আগামী বছরের জানুয়ারির আগে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে। তার আগে অপারেশন লোটাসের মতো দল ভাঙানোর খেলা ঝাড়খণ্ডে খেলতে শুরু করেছে বিজেপি। নেতৃত্বে রয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁরই প্রাদেশিকতার নীতিতে ঝাড়খণ্ডে লোকসভা নির্বাচন লড়েছে বিজেপি। এবার বিধানসভার ময়দানে সেই নীতির সারথি হিসাবে বিজেপি মাঠে নামাচ্ছে চম্পাইকে। হিমন্ত জানিয়েছেন শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন চম্পাই। রাজধানী রাঁচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই যোগদান পর্ব হবে। আর এই জল্পনায় শিলমোহর নিজেই লাগালেন চম্পাই সোরেন।