বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে, যেটা হয়েছে সেটা ফ্লপ শো!নবান্নে সরব মন্ত্রীরা

0
1

অহিংস আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলেও আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে হিংসাত্মক চেহারা নিল মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে গিয়ে যেমন লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন আন্দোলনকারীরা, তেমনি তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন পুলিশ কর্মীরাও। বাবুঘাট, হাওড়া ময়দানে পুলিশকে ঘিরে ধরে গণপিটুনি দেওয়ার ছবিও দেখা গিয়েছে। জল কামানের তোড়ে , কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় আর পুলিশের তাড়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা পিছিয়ে গিয়েছেন। ফের এগিয়ে গিয়েছেন ব্যারিকেড লক্ষ্য করে।

রীতিমতো গেরিলা কায়দায় পুলিশের ওপর হামলা করতে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের।প্রায় চার ঘণ্টা ধরে এই অবস্থা চলে।ছাত্রসমাজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেও আসলে যে এই আন্দোলনের পিছনে গেরুয়া শিবির রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সবাই বুঝতে পারছেন ছাত্র সমাজের নামে এদিন বিজেপি নতুন করে বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। পুলিশ আক্রান্ত হলেও ধৈর্য্যচ্যুত হয়নি।তার কটাক্ষ, ওদের অবশ্য একটা চাহিদা ছিল, জীবন্ত লাশ! একটা বডি চাই, কিন্তু সেটা হল না। কারণ, পুলিশ ওদের প্ররোচনায় পা দেয়নি। তাহলে কী করতে হবে? আরেকটা অরাজকতা। সেজন্যই আগামীকাল বিজেপি বনধ ডেকেছে।

এরপরই বনধ ব্যর্থ করার আহ্বান জানিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, বাংলায় বনধের রাজনীতি চলে না। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলায় আর বনধ হয় না।তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলায় নতুন করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি।

আদালতের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। ওই প্রসঙ্গ টেনে চন্দ্রিমা বলেন, কিছু বলার থাকলে সিবিআইয়ের কাছে যান। আসলে, কিছু বলার তো নেই, তাই বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা।

বনধকে ঘিরে রেলের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন চন্দ্রিমা। রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, রেল কর্তৃপক্ষকে বলছি আগামিকাল রেল বন্ধ করবেন না। কারণ, বাংলায় বনধ হয় না।একই সঙ্গে চন্দ্রিমা আরও জানান, আজকে দেখলাম জাতীয় পতাকা নিয়ে কী করা হলো। জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে কোর্টে যাব।কটাক্ষের সুরে যোগ করেছেন, আজকে যে শো হয়েছে সেটা তো ফ্লপ শো! যতটা গর্জাল, ততটা বর্ষাল না।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। মিছিলে যারা উপস্থিত ছিল তারা ছাত্র নামধারী হুলিগান। গোটা ভারতবর্ষ যেখানে বিচার চাইছে, সেখানে ওরা বিচার না চেয়ে লাশ চেয়েছে। পুলিশ মাথা ঠান্ডা রেখে এই হঠকারি আন্দোলনকে রুখেছে। আমরা ভেবেছিলাম যে একটা মিছিল সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে যাবে সিবিআইয়ের কাছে বিচার চাইতে। তা কিন্তু হল না।