আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক ধর্ষণ-খুনের ১৫দিনের মধ্যেও বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। আর দেশের নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে এই নারকীয় ঘটনা। তথ্য দিয়ে ফের দ্রুত বিচারের দাবিতে সরব হলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। ১৫ দিনে দেশে যে সমস্ত ধর্ষণের খবর সামনে এসেছে, তার একটি ‘কোলাজ’ তৈরি করে পোস্ট করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, এই কোলাজটিই বলে দিচ্ছে এই মুহূর্তে ভারতের পরিস্থিতি আসলে কী রকম? এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণবিরোধী আইনের প্রয়োজন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রতি ১০০টি ধর্ষণের ঘটনায় ৭৪ জন শাস্তিই পান না।তিলোত্তমার মর্মান্তিক পরিণতির পরেই আইন বদলে সাতদিনের মধ্যে ধর্ষক-খুনির এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। এর কিছুদিন পরে রীতিমতো তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে অভিষেক জানান, কেন দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তির দাবি জানিয়ে ছিলেন। মঙ্গলবার, ফের নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) আর জি কর-কাণ্ডের পরে গত ১৫ দিনে দেশের কোথায় কোথায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সেই পরিসংখ্যান দিয়ে দ্রুত বিচারের দাবিতে সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
This collage stands as a STARK REMINDER of the STATE OF AFFAIRS IN INDIA OVER THE LAST 15 DAYS, as the nation fights for JUSTICE AGAINST RAPE.
The ANSWER is clear: A stringent ANTI RAPE LAW that ensures TRIALS AND CONVICTIONS WITHIN 50 DAYS, followed by immediate and harsh… pic.twitter.com/QnkaSuIpOr
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) August 27, 2024
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) তিনি লেখেন, “এই কোলাজটি গত ১৫ দিনে ভারতের অবস্থার একটি অবিচ্ছিন্ন অনুস্মারক হিসাবে দেখা দিচ্ছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের দাবিতে দেশ লড়াই করছে। উত্তরটি স্পষ্ট: একটি কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন যা ৫০ দিনের মধ্যে বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত নিশ্চিত করবে। তার পরে দ্রুত এবং কঠোরশাস্তি। আশ্চর্যজনক ঘটনা হলস যে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার মাত্র ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০টি রিপোর্ট করা মামলার মধ্যে শুধুমাত্র ২৬জন দোষী সাব্যস্ত হয়। ৭৪ জন দোষী অব্যাহতি পায়। আমরা যদি এই ভয়ঙ্কর অপরাধের শিকারদের ন্যায়বিচার দিতে চাই, তাহলে আমাদের রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি সময়সীমাবদ্ধ ধর্ষণ বিরোধী আইন দাবি করা অপরিহার্য।“ এই পোস্টে তিনি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত গত পনেরোদিনের ধর্ষণের খবরের খতিয়ান দেন। সেখানে কোথাও লেখা যোধপুরে মন্দিরের বাইরে শুয়ে থাকা তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের করা হয়েছে। কোথাও অসমে ১৪ বছরের কিশোরীকে টিউশন পড়ে ফেরার পথে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে। আবার ওড়িশায় আইসিইউয়ের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুই রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগের খবর রয়েছে।
আর জি করের ঘটনার পরেই নৃশংস ঘটনায় সাতদিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে করা আইন আনতে হবে বলে আওয়াজ তোলেন অভিষেক। এর পরে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানান, “এমন কড়া আইন আনতে হবে যাতে ৫০ দিনের মধ্যে গোটা বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয় এবং দোষীরা শাস্তি পায়।” এবার গত ১৫ দিনের খতিয়ান তুলে সরব অভিষেক।