আর জি কর-কাণ্ডকে সামনে রেখে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিরোধীরা। ‘বিচার চাই’-এর স্লোগান বদলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে। অথচ নিজেদের ‘অরাজনৈতিক‘ বলে দেখাতে চাইছে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযান করতে যাওয়া ‘ছাত্রসমাজ‘। ইতিমধ্যেই তাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে। নেতারা নিজেরা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা আরএসএসের সক্রিয় সদস্য। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব বাড়াল বাম-কংগ্রেস (Left-Congress)।
ইতিমধ্যেই DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukharjee) জানিয়ে দিয়েছেন এই অভিযানে তাঁরা থাকছেন না। ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে মীনাক্ষি অভিযোগ করেন, অনৈতিকভাবে তাঁর নাম এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বলেন, “মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম একটা নবান্ন অভিযান আছে। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমানে বিরোধী দলের নেতা, যিনি কি না বিজেপিরও নেতা। তিনি এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছেন। এই কর্মসূচির উদ্যোক্তারা এই কর্মসূচির সঙ্গে আমার নাম যুক্ত করে প্রচার করেছেন। এটা অনৈতিক কাজ। জনমানসে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য এই কাজ করেছেন। এই অনৈতিক কাজকে আমরা ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে ধিক্কার জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অরাজনৈতিক ব্যানারে নবান্ন অভিযান ডাকার পরে প্রথমে সমর্থন করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhirranjan Chowdhury)। কিন্তু ক্রমশ RSS যোগ স্পষ্ট হতেই উলটো সুর অধীর চৌধুরীর গলায়। বলেন, ”কারা এই ছাত্রসমাজ, জানি না। আমাদের কেউ ডাকেনি।” ২৯ আগস্ট কংগ্রেসের তরফে আলাদা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের তরফ থেকেও আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ধর্ষণ-খুনের থেকে নজর ঘোরাতে এই অভিযান করা হচ্ছে। সুতরাং কংগ্রেসও থাকছে না এই আন্দোলনে।
তদন্ত করছে CBI। বিচার চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে নবান্ন অভিযান কেন? সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মীনাক্ষির কথায়, তিনি বা তাঁদের সংগঠনের কেউ, ডিওয়াইএফআই, এসএফআই বা কোনও বামপন্থী সংগঠনের এই কর্মসূচির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর বার্তা, “আরএসএস, ভিএইচপির ছাত্র সমাজের পাতা ফাঁদে পা দেবেন না।” ২৭ তারিখ সারারাজ্য, জেলায় জেলায়, প্রতি ব্লকে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামবেন বলে জানান DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষি। এতদিন যে নবান্ন অভিযানকে অরাজনৈতিক আখ্যা দিয়ে উস্কাতে চেয়েছিল বিরোধীরা, আরএসএস যোগ সামনে চলে আসার পরেই এবার সরছে বাম-কংগ্রেস (Left-Congress)।











































































































































