রাজপথে ‘বিচার’ দাবি করা বামেদের ইস্তাহারেই উল্টো কথা! ধুয়ে দিল তৃণমূল

0
2

আর জি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাম-বাম একজোট হয়ে রাজনীতির রং লাগিয়েছে সাধারণ মানুষের বিচারের দাবিকে। সিবিআই-এর কাছে সঠিক বিচার চেয়ে যেখানে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে চরম শাস্তির বিধান আনার দাবিও জানিয়েছেন। সেখানে বামেরা শুধুই শহরের রাস্তা গরম করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন। তৃণমূল বা রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে একসুর হয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে যে রুখে দাঁড়াতে পারবেন না বামেরা, তা তাঁদের লোকসভার ইস্তাহারেই প্রমাণ পাওয়া যায়, দাবি তৃণমূলের। সেখানেই ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিরোধিতার নীতি নিয়েছিলেন বামেরা, কটাক্ষ প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ খুনের ঘটনার প্রথম থেকেই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একধাপ এগিয়ে খুনি-ধর্ষকদের এনকাউন্টারের পক্ষে সুর চড়িয়েছিলেন। দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলও এই ঘটনার পরে কেন্দ্রের তরফে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে কঠিনতম শাস্তির পক্ষে দাবি জানিয়েছিলেন। সেখানেই সিপিআইএমের ইস্তাহার দাবি করেছে মৃত্যুদণ্ডের ধারা রদের পক্ষে।

কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সিপিআইএমের ইস্তাহার তুলে ধরেন। ইস্তাহারে তুলে ধরা হয়েছিল, সংবিধান সংশোধনের জন্য বামেদের পক্ষে যে সব প্রস্তাবনা করা হবে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, মৃত্যুদণ্ডের ধারা রদ করার প্রস্তাব। যে বামেরা বিচার চেয়ে রাজপথ গরম করছেন, সেই বামেদের নীতিগত দ্বিচারিতাকে স্পষ্ট করেছে তাদেরই ইস্তাহার।