আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ড নিয়ে একশ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসাররা “TRP” বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে। নির্যাতিতা তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়ার দোষীদের বিচার এক্ষেত্রে অনেকটাই গৌণ হয়ে গিয়েছে। মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা। অসৎ উদ্যেশ্যে মুচমুচে খবর পরিবেশন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার প্রবণতাই বেশি। ফলে রটনাকে ঘটনা বলে চালানোর অপচেষ্টা। এরকম একের পর এক ফেক ভিডিও, অডিও, ছবি পোস্ট চলছেই। অনেক মানুষও সেগুলি যাচাই না করে গপগপ করে গিলছে। ফলে মুহূর্তে তা হয়ে যাচ্ছে ভাইরাল। এমনকি, মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমগুলিও সেগুলি অনায়াসে চালিয়ে দিচ্ছে।

আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দায়িত্ব দিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে যে ধরণের অভিযোগ উঠছে সেই জায়গা থেকে কীভাবে সন্দীপকে অন্য একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হল, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সরকারও সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। সন্দীপ ঘোষকে সন্দেহের তালিকায় রেখে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ এখন রোজনামচা। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও এসেছে। লালবাজারে ডাক করানো হয়েছে।

ঠিক সেই আবহে আচমকা রটে যায় যে সন্দীপ ঘোষের পুরনো ট্রান্সফারের নির্দেশ বাতিল করে তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরের ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি মূল ধারার সংবাদমাধ্যমের একাংশ তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। কিন্তু আজ, শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সন্দীপ ঘোষকে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়নি। তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে তাঁর পোস্টিং বাতিল করা হয়েছে।
এদিন স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বলা হয়, আর জি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের একাংশে বহু ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যা সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে আরও উস্কে দিয়েছে। সুতরাং রাজ্যে শান্তি ও সুস্থির পরিস্থিতি বজায় রাখতে সবাইকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।

সন্দীপ ঘোষকে যে স্বাস্থ্য দফতরের ওএসডি করা হয়নি সে ব্যাপারে এদিন শাসক দল তৃণমূলের পক্ষেও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। এবং এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি কাটানোর চেষ্টা করেছেন তৃণমূল নেতারা। কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, “সন্দীপ ঘোষ এখন স্বাস্থ্য ভবনের OSD বলে যে রটনা, যারা নানারকম পোস্ট করছেন, সবটাই ভুল। সন্দীপ ঘোষ National Medical -এর অধ্যক্ষ থেকেও বদলি। আপাতত ছুটিতে। কোনো পদ নেই। রটনা ও ভুল প্রচার বন্ধ হোক “।

একইভাবে পোস্ট করেন তৃণমূলের আইটি সেলের ইনচার্জ যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি লেখেন, “আরেকটা বড় ফেক নিউজ.. যে ফেক নিউজের চক্করে বড় বড় সমস্ত মিডিয়া হাউজ পড়েছে! যে ফেক নিউজ ছড়িয়েছেন স্বয়ং বিরোধী দলনেতা.. যে ফেক নিউজ আমি নিজেও খেয়ে গিয়েছিলাম! সন্দীপ ঘোষকে স্বাস্থ্য ভবনের ওএসডি পদে বদলি করা হয়নি। তিনি কোনও পদে নেই। তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আবার বলছি, সন্দীপ ঘোষ এই মুহূর্তে কোনও পদে নেই। তাই যারা প্রচার করছেন সন্দীপ ঘোষ পরপর তিনবার চাকরি পেয়েছেন, তাকে অতি দ্রুত বিভিন্ন পোস্টে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো সবকটাই ফেক নিউজ। দয়া করে শুধরে নিন।”
আরও পড়ুন:আজ ফের CGO-তে সন্দীপ, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় সত্য জানতে মরিয়া সিবিআই








































































































































