আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। এই ঘটনার পরেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ডবল ইঞ্জিনের অসমে (Assam) নাবালিকার গণধর্ষণের পরে স্যোশাল মিডিয়ার পোস্ট দিয়েই দায় সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা (Hemant Biswasharma)। গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অসমের নগাঁওয়ের ধিং অঞ্চল। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ৩ দুষ্কৃতী ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের বনধ ডেকেছেন স্থানীয়রা।অভিযোগ, সন্ধে ৭-৮টা নাগাদ টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ৩ দুষ্কৃতী আক্রমণ করে। রাস্তার ধারে ফেলেই চলে নির্যাতন। গণধর্ষণের পরে স্থানীয় বোরভেটি এলাকায় নাবালিকার অচৈতন্য দেহ ফেলে চম্পট দেয় তারা। ওই অবস্থায় নাবালিকা প্রায় ১ ঘণ্টা পড়েছিল বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পুলিশ গিয়ে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করে। তাকে ধিং ফার্স্ট রেফারাল ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে নগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার জেরে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডাকা হয়। দাবি, দ্রুত সব দোষীদের গ্রেফতার করে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে হবে। ইতিমধ্যেই অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেছেন। স্যোশাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, নাবালিকার ওপর এই নির্যাতন মানে মানবিকতার উপর আঘাত। ডিজিপি জিপি সিংকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক একজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।