আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ আরও ৫ জন ডাক্তারের পলিগ্রাফ টেস্টে (Polygraph Test) করাতে চায় সিবিআই। সেই কারণেই প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ কোর্টে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের চেম্বারে নিয়ে আসা হয় সন্দীপ ও চারজন ডাক্তারকে।

শিয়ালদহ আদালতে শুনানি শেষে আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং ওই দিন ডিউটিরত ৪ জন চিকিৎসকের পলিগ্রাফ টেস্টের (Polygraph Test) সম্মতি নেওয়া হল। এই পাঁচজন ছাড়াও এখনও পর্যন্ত একমাত্র ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় ঘনিষ্ঠ একজনেরও পলিগ্রাফ টেস্টের সম্মতি নেওয়ার জন্যও নিয়ে আসা হয়।

সিবিআই সূত্রে খবর, সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোটা পর্বেই সে নির্বিকার অবস্থায় ছিল। অনুশোচনার কোনও লেশমাত্র তার মধ্যে দেখা যায়নি। এমনকি এই ঘৃণ্য অপরাধের বর্ণনা সে নাকি নিজেই দিয়েছে। যদিও ধৃত সঞ্জয়ের এখনও পলিগ্রাফ টেস্ট হয়নি। তবে সুপ্রিম নির্দেশে আজই করতে হবে পলিগ্রাফ টেস্ট।

দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। ধৃত সঞ্জয় রায়কে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।

এদিকে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের সাইকোমেট্রিক টেস্টে এমনই হাড়হিম তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। ধৃত সঞ্জয়ের দফায় দফায় মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তা দেখে চমকে উঠেছেন তদন্তকারী থেকে মনস্তত্ত্ববিদরা। সাইকোমেট্রিক টেস্টের রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত যে ধৃত সঞ্জয় বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে অপরাধ বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে হয়, ‘সেক্সুয়ালি পারভারটেড’।
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে সুপ্রিম ‘খটকা’, ফের স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ সিবিআইকে








































































































































