WAKE UP INDIA: ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে আওয়াজ তুললেন অভিষেক

0
6

ধর্ষণ-খুনের মতো নৃশংস ঘটনায় সাতদিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে এনকাউন্টার করা আইন আনতে হবে। আর জি কর-কাণ্ডের পরেই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। ফের বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ। সাফ জানালেন, “এমন কড়া আইন আনতে হবে যাতে ৫০ দিনের মধ্যে গোটা বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয় এবং দোষীরা শাস্তি পায়।”

বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) নিজের দাবির সপক্ষে তথ্য তুলে ধরেন অভিষেক। জানান, কীভাবে আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ, আন্দোলনের মধ্যেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। তিনি স্পষ্ট করে দেন, কেন দ্রুত বিচারের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, “গত ১০ দিন গোটা দেশজুড়ে আর জি করের নৃশংস ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চলছে। এই সময় সারাদেশে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঠিক যে সময় মানুষ রাস্তায় নেমে এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করছেন তখনই এই ধর্ষণগুলি হয়েছে। কিন্তু এখনও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কোনও পদক্ষেপ করা হল না।”

তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে অভিষেক লেখেন, “দিনে ৯০টি, ঘণ্টায় চারটি, প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। স্বাভাবিক ভাবেই দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের প্রয়োজন স্পষ্ট।” এর প্রেক্ষিতেই অভিষেকের দাবি, “কঠোর আইন প্রয়োজন যার ফলে ৫০ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া নিষ্পত্তি করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া যায়। প্রত্যেক ধর্ষকের কঠোর শাস্তি চাই”

দ্রুত কাজে যোগ দিন, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার আশ্বাস সুপ্রিম কোর্টের

তবে শুধু ভাষণে যে কাজ হবে না সেটাও নিজের পোস্টে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “শুধু ফাঁকা বুলি নয়। রাজ্য সরকারগুলিকে আরও সক্রিয় হতে হবে। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে হবে যাতে কেন্দ্র দ্রুত এবং মসৃণ বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন কার্যকর করে। এর চেয়ে কম কোনও পদক্ষেপ নিলে তার কোন প্রভাব পড়বে না। সেটা লোকদেখানো হবে।”

WAKE UP INDIA”