বাংলাদেশে হাসিনা সহ প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল  

0
1

প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দকৃত সব কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশনের সিনিয়র সচিব মোহম্মদ মশিউর রহমান এই কথা জানিয়েছেন।তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।সচিব বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং আশা করা যাচ্ছে দ্রুত আদেশ জারি করা হবে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দু-সপ্তাহ পর এই সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার।সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট পান।সবারই পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে।যদি কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী কেউ নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, সেক্ষেত্রে প্রথমে কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে প্রাক্তন মন্ত্রী-এমপি যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা অনুযায়ী কূটনৈতিক বা সরকারি পাসপোর্ট থাকলে বাংলাদেশের কোনও নাগরিক অন্তত ৪৫ দিন কোনও ভিসা ছাড়াই ভারতে থাকতে পারেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় তার ভারতে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।হাসিনার বোন রেহানার কোনও কূটনৈতিক জটিলতা নেই। কারণ, তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। এর ফলে তিনি সাধারণ ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ অনুযায়ী যত দিন খুশি, ভারতে থাকতে পারেন।