সুপ্রিম-আবেদনের পরেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার AIIMS-এর জুনিয়র ডাক্তারদের

0
1

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদ শুধু বাংলায় নয়, ছড়িয়ে পড়ে দেশের না না প্রান্তে। আন্দোলন শুরু করেছিলেন এইমসের জুনিয়র চিকিৎসকেরাও। ১১ দিন পর সেই কর্মবিরতি তুলে নিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশের পরেই কাজে ফিরছেন এইমসের চিকিৎসকেরা। আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে হস্তক্ষেপ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।এদিন, আর জি কর মামলার শুনানিতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এর পরেই দিল্লি AIIMS-র জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন রেসিডেন্ট ডক্টর্‌স অ্যাসোসিয়েশন (RDA) কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন চলছে। সামিল হয়েছিলেন দিল্লি AIIMS-র চিকিৎসকেরাও। গত ১১দিন ধরে জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সব পরিষেবা বন্ধ রেখেছিলেন। বিচার চেয়ে রাজধানীর রাস্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সামনেও কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় তাঁদের। হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগে দিল্লিতে নির্মাণ ভবনের সামনে রোগীদের চিকিৎসা করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দেশের সমস্ত হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। তাতে ৯ জন করে সদস্য থাকবেন। টাস্ক ফোর্স মূলত ২টি বিষয়ে কাজ করবে।
• নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং লিঙ্গগত বৈষম্য দূর করা।
• হাসপাতালের চিকিৎসক, ইন্টার্ন, আবাসিক চিকিৎসকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য একটি প্রোটোকল বা নিয়মবিধি তৈরি করা।

টাস্ক ফোর্সকে তিনসপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।