বিশ্বের সবথেকে বয়স্ক মহিলা মারিয়া ব্রান্যাস মোরেরা প্রয়াত হলেন। স্পেনের হাসপাতালে ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তাঁর পরিবার। মৃত্য়ুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৭। সর্ববরিষ্ঠ মহিলা নাগরিক হিসাবে ইতিমধ্যেই তাঁর নাম গিনেস বুকে উঠে গিয়েছে। তাঁর মৃত্যু শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার।
গত প্রায় কুড়ি বছর উত্তর পূর্ব স্পেনের ওলোট শহরের একটি নার্সিং হোমই ছিল মারিয়ার ঘরবাড়ি। ১৯০৭ সালে আমেরিকায় জন্ম হয়েছিল মারিয়ার। বিশ্বের দুটি অতিমারী ও মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়েছেন তিনি। ১৯১৮ সালের ফ্লু দেখেছেন তিনি। দেখেছেন দু-দুটি বিশ্বযুদ্ধ। সম্প্রতি করোনা অতিমারীও পার করেছেন নির্বিঘ্নে। নিজের বেঁচে থাকা নিয়ে মারিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, হয়তো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকাটা অনেকটাই ভাগ্যের উপরও নির্ভর করে। তবে গত কয়েকদিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না।
মারিয়ার নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল তাঁর পরিবার চালাতো। সেখানে কিছুদিন আগেই তিনি একটি বার্তায় জানিয়েছিলেন, “সময় এসে গিয়েছে। চোখের জল ফেলো না। আমি চোখের জল পছন্দ করি না। আর তার থেকেও বেশি, আমার জন্য় কষ্ট পেও না। আমি যেখানেই যাব, সুখে থাকব।” অথচ এই মারিয়াই সারাজীবন একজন প্রকৃত সুস্থ মানুষের জীবন কাটিয়েছিলেন। তাঁর মেয়ে দাবি করেছেন, তাঁর মা কোনওদিন হাসপাতালে ভর্তি হননি। কখনও তাঁর কোনও হাড়ও ভাঙেনি। তাঁকে সবদিক থেকে সুস্থ রাখার জন্যই শেষ কুড়ি বছর নার্সিং হোমে চিকিৎসকদের নজরদারির মধ্যে থাকতেন।
বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মারিয়ার ডিএনএ সংরক্ষণ করছেন। তাঁর এই দীর্ঘ বেঁচে থাকার রহস্য তাঁর ডিএনএ থেকে বের করার চেষ্টা করবেন তাঁরা। কীভাবে ১১৭ বছর সুস্থভাবে ছিলেন, এমনকি তাঁর মস্তিষ্ক ও স্মরণশক্তিও একেবারে অটুট কীভাবে ছিল, তা এখন গবেষকদের অনুসন্ধানের বিষয়।