দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার। যৌনতাপূর্ণ শব্দে সেই ভাসনে জোর হাততালিও কুড়ালেন বিজেপি সমর্থকদের থেকে। আর জি করের ঘটনার পরে রাজ্যের নারীদের জন্য কেঁদে ওঠা বিজেপি ও তার নেতাদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ল বিজেপি বিধায়কের কথায়। আদৌ তারা মহিলাদের সম্মান নিয়ে চিন্তিত কী, প্রশ্ন তৃণমূলের।

আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজনীতি ঢুকিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। মঙ্গলবার ওন্দায় সেরকমই একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা যৌনতাপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন। ওন্দার বিধায়ক সামগ্রিকভাবে বিজেপি ও তাঁদের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়েরই পথ অনুসরণ করছে বলে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রেট’ বেধে দেওয়া নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয় বিজেপি বিধায়ককে।

সেই সঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অমরনাথের বক্তব্যে প্রমাণিত হচ্ছে বিজেপি দলটার মধ্যেই কতটা গভীরভাবে গেঁথে রয়েছে উন্মত্ত ও পুরুষতান্ত্রিক যৌনতার ভাবনা। কটাক্ষ করা হয়েছে, যে দলের নেতারা দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করতে পারেন না, তাঁদের কোনও অধিকার নেই নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলার। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের অভিযোগ, “এরা মহিলাদের সম্মান নিয়ে আদৌ চিন্তিত? এসব চলবে?”

সেই সঙ্গে বিজেপিকে এই বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি করেন কুণাল। তিনি জানান, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে যে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছে তাঁকে আইনত যা যা শাস্তি, তা দেওয়া দরকার। পাশাপাশি বিজেপি নেতারা স্পষ্ট করুন এই সংস্কৃতি তাঁরা সমর্থন করছেন, না করছেন না। তৃণমূলের নেতা বা নেত্রী খারাপ করলে বলা হয় দল তা অনুমোদন করে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিজেপির কোনও নেতা বা নেত্রী একথা ঘোষণা জানাননি, তাঁরা এই বক্তব্য সমর্থন করেন কিনা।”










































































































































