এবার লালবাজারে ত.লব আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে

0
2

গত চারদিন ধরে দফায় দফায় সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।মঙ্গলবারও সিজিও কমপ্লেক্সে তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। চারদিনে প্রায় ৪০ ঘণ্টা সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকলেও, তার নামে গুচ্ছের দুর্নীতির অভিযোগ। সিবিআই সেই অভিযোগের শিকড়ে পৌঁছতে চায়।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সিবিআইয়ের তলবে মঙ্গলবারও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত তথ্য বা বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল, সেই বয়ানের সঙ্গে সন্দীপের যে বয়ান নেওয়া হয়েছিল, তার তথ্যে অমিল রয়েছে। নতুন করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য বা বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই।

এরইমধ্যে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জুন মাসে টালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এক আইএএস আধিকারিক এই অভিযোগ করেন। প্রায় তিন মাস পর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। ‘প্রিভেনশন অব কোরাপশন’ আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যেহেতু ১ জুলাই-এর আগে টালা থানায় এক আধিকারিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই কারণেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবারই সন্দীপের বিরুদ্ধে সিট  গঠন করেছে রাজ্য। আইজি প্রণব কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার সামনে এল কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়টি।ওয়াকিবহালমহলের মত সিবিআইয়ের কোনও কড়া পদক্ষেপের আগেই কলকাতা পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিতে পারে সন্দীপ ঘোষকে? সন্দীপ ঘোষকে বুধবার বেলা ১২টায় লালবাজারে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গত ৯ অগাস্ট আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জনসমক্ষে নির্যাতিতার নাম বলে দেন সন্দীপ।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত চিকিৎসকের নাম প্রকাশ্যে বলায় তার বিরুদ্ধে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই মামলাতেই সন্দীপ ডেকে পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ।আরজি কর-কাণ্ডের নির্যাতিতার ছবি এবং নাম-পরিচয় সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে পুলিশ।প্রাক্তন অধ্যক্ষ স্বয়ং নির্যাতিতার নাম ফাঁস করে দেন।