আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। শুরুতে তদন্তে নেমেই কলকাতা পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই (CBI)। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত এটাই শেষ গ্রেফতার। ২৩ আগস্ট ১৪দিন হেফাজত শেষ হবে সঞ্জয়ের। হাতে সময় মাত্র ৩দিন। কিন্তু এখনও তদন্তকারী সংস্থা বড়সড় কোনও ‘ব্রেক থ্রু’ দিতে পারেনি। অর্থাৎ, তদন্ত এখনও সেই তিমিরেই।
আর জি করের ঘৃণ্য অপরাধের কিনারা করতে এবার চাপ বাড়ছে সিবিআইয়ের (CBI) উপর। এই পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার অভিযুক্ত সঞ্জয়ের লাই ডিটেকশন বা পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু কখন এমন পদক্ষেপ নেয় তদন্তকারী সংস্থা? যখন দীর্ঘ তদন্ত ও জেরার পরও মামলার কোনও কিনারা হয় না। উঠে আসে না নিশ্চিত তথ্যপ্রমাণ।
এবারও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সেই পথে হাঁটায় সন্দেহ তৈরি হচ্ছে—তাহলে কি আর জি কর কাণ্ডে এখনও মোক্ষম কোনও নতুন তথ্য অধরা? এভাবে তদন্ত অথবা গ্রেপ্তারি দীর্ঘায়িত হলে নাগরিক সমাজের ক্ষোভের আঁচ যে কোনও সময় সিবিআইয়ের দিকেও ঘুরে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজ ফের সিজিওতে তলব, জোরালো হচ্ছে সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্টের সম্ভাবনা!