আর জি করের ঘটনা নিয়ে শুধুমাত্র বাংলায় নয়, গোটা দেশে অশান্তি তৈরি চেষ্টা চলছে, কার্যত মেনে নিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। বিভিন্ন মিটিং-মিছিলের মাধ্যমে কোনওভাবে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য প্রতি দুঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট তলব করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কার্যত প্রতিবাদের মধ্যে থেক অশান্তি বাধানোর চেষ্টা ১৪ অগাস্ট রাতে যেভাবে দেখা গিয়েছিল, তাকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এবার কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।
রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই উদ্যোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে রবিবারের পরই মামলা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পরে আদালতের নির্দেশ মামলা সিবিআই-এর হাতে গিয়েছে। সিবিআই দিনে কোনও নতুন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। আর জি করের আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়া থেকে রাজ্য সরকারও সিবিআই-এর কাছে সঠিক ও দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তদন্তের কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় গোটা দেশে ডাক্তার থেকে সাধারণ মানুষ ফের সরব হয়েছেন।
বিচার চেয়ে রবিবার শহরের বিভিন্ন জায়গা সহ গোটা রাজ্য তথা গোটা দেশে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে সাধারণ মানুষ, ডাক্তার থেকে সমাজের বিশিষ্ট মানুষরা। এই পরিস্থিতিতে দেশে কোনওভাবে যাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে তা নিয়ে সজাগ হয়েছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দফতরের তরফে জরুরি ফ্যাক্স পাঠানো হয়েছে শনিবার। জানানো হয়েছে প্রতি দুঘণ্টা অন্তর পাঠাতে হবে রিপোর্ট।
অমিত শাহর দফতর শনিবার বিকাল থেকেই নজরদারি শুরু করেছে। প্রতি দুঘণ্টা অন্তর রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কী রয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট প্রোফর্মা মেনে সেই রিপোর্ট দিতে হবে, যা পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ফ্যাক্স, হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেলে সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে।