আর জি করে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে ১৪ আগস্ট রাতে মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির দিন ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে হাসপাতালে। একদল দুষ্কৃতী নির্বিচারে ভাঙচুর চালায়। মারমুখি ছিল তারা। বাধা দিতে গেলে আক্রমণ করে পুলিশের উপরও। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত দোষীদের চিহ্নিত করে প্রায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজেও চালানো হচ্ছে তল্লাশি।

ওইদিন রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আন্দোলনে মিশে ছিলেন হামলাকারীরা। আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা ছিল। এমনটাই মনে করছে কলকাতা পুলিশ। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের ডাক দেওয়া বিভিন্ন গ্রুপের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, ইচ্ছা করেই আন্দোলনের দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল এই হামলার জন্য।

অন্যদিকে, আর জি করে (RG Kar Hospital) হামলার সময়ে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ফুটেজে দেখা যায়, ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা হাতেই সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। অভিযোগ, ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। তার পর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশকেও মারধর করা হয়।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ছিলেন হামলাকারীরা। এক একটি দলে ছিলেন ৫ থেকে ১০ জন করে। ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই দলগুলি আলাদা আলাদা ভাবে আর জি কর চত্বরে পৌঁছেছিল। ছোট ছোট দলগুলির মধ্যে যোগাযোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের মদত ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: R G Kar-কাণ্ডে রবিবারের মধ্যে দোষীদের ফাঁসির চাই: রাজপথে গর্জে উঠলেন মমতা








































































































































