দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ ক্ষেত্রের মর্যাদা পেতে চলেছে সুন্দরবন। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় সুন্দরবনের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্য মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের রূপায়ণ শুরু হওয়ার কথা। যা সম্পূর্ণ হলে বাঘেদের দ্বিতীয় বৃহত্তম আবাস হয়ে উঠবে এই বনাঞ্চল।
এ প্রসঙ্গে শিল্প, বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, পরিকল্পিত প্রকল্পটির ব্যয় হবে ৪১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ২৮৭০ কোটি টাকা বহন করবে বিশ্বব্যাংক এবং বাকি ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ১২৩০ কোটি টাকা বহন করবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- আর জি কর থেকে উত্তরবঙ্গে পাঠানো হল সন্দীপের স্ত্রীকে, রুটিন বদলি দাবি স্বাস্থ্য দফতরের
‘সুস্থায়ী সমুদ্র সম্পদ ও অর্থনীতি সমন্বয়’ নামক এই প্রকল্পটি ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মাধ্যমে মূলত ব-দ্বীপের বিপর্যয় মোকাবিলা পরিকাঠামোকে মজবুত করে তোলা হবে সুন্দরবন বিষয়ক মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানান, ৩৯টি দ্বীপের নদী বাঁধ শক্তিশালী করা হবে। বর্তমানে ২৫৮৫.৮৯ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণাঞ্চলের আওতায় রয়েছে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সংরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ বেড়ে হবে ৩৬২৯.৫৭ বর্গ কিলোমিটার। রাজ্যের প্রধান বন্যপ্রাণী সংরক্ষক দেবল রায় জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি, মতলা ও রামগঙ্গা রেঞ্জকে এই বিস্তৃত এলাকার আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে সুন্দরবনে ১০১টি বাঘ রয়েছে এবং এটি দেশের সপ্তম বৃহত্তম বাঘ সংরক্ষণাঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত। নতুন তিনটি বন এলাকা যোগ হলে এটি দেশের সর্ববৃহৎ বাঘ সংরক্ষণাঞ্চল হবে, যা অন্ধ্রপ্রদেশের নগরজুনা সাগরকে ছাপিয়ে যাবে। বর্তমানে দেশে এ ধরনের ৫৫টি বাঘ সংরক্ষণাঞ্চল রয়েছে।
অন্যদিকে, এই ঘোষণায় ছোট মাছ ধরার সংগঠনগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, এর ফলে সীমান্তবর্তী মাছ ধরার পেশাজীবীদের জীবিকা বিপন্ন হবে। তবে বন বিভাগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।