আর জি করে প্রমাণ লোপাটে হামলা বাম-বিজেপির: বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

0
2

প্রমাণ লোপাটে আর জি করে বুধবার মধ্যরাতে হামলা। বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর জি করে (R G Kar Medical College And Hospital) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে শুক্রবার রাজপথে মিছিল করেন মমতা। মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে সভা করেন তৃণণূল সভানেত্রী। সেখানে থেকে বাম-বিজেপি-র চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “আপনারা প্রমাণ লোপাট করতে আর জি করে হামলা করেছিলেন। ফ্লোরটা গুলিয়ে ফেলে আসল ভাঙচুর করতে পারেনি। আপনারা সিসিটিভি ভেঙেছেন।“

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ আর জি করে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তি নষ্ট করেছে হামলাকারীরা। “বিজেপি (BJP) এবং সিপিএমের (CPIM) হামলায় কোটি কোটি টাকার জিনিস নষ্ট হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে নামলেন বলে আমাদের নামতে হল। উত্তরাখণ্ডে নার্সের ধর্ষণ–মৃত্যুর ৯ দিন পর দেহ মিলেছে। কিন্তু বাংলায় এসব হয় না।“ বুধবার রাতে মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচির মধ্যেই দুষ্কৃতী তাণ্ডব হয় আর জি করে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, হামলাকারীদের হাতে ডিওয়াইএফআই-র পতাকা দেখা গিয়েছে। এমনকী, বিজেপি জাতীয় পতাকা নিয়ে হামলা চালিয়ে বলেও অভিযোগ তৃণমূল সভানেত্রীর। “আমি জানি, সিপিএম, বিজেপি আরজি করে (R G Kar Medical College And Hospital) ভাঙচুর করেছে। সাধারণ মানুষকে কুর্নিশ জানাই। তাঁরা ঠিক কাজ করেছেন। রাত ১২টার পরে ডিওয়াইএফআই (DYFI) নিয়েছে দলের পতাকা, বিজেপি নিয়ে জাতীয় পতাকা। এটা বন্ধ করা উচিত।“ তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “গিয়েছিলেন তো প্রমাণ লোপাট করতে। থার্ড ফ্লোর ভেবে রাতে আপনারা সেকেন্ড ফ্লোরে চলে গিয়েছিলেন। সিসিটিভি ভেঙেছেন। জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট করেছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম কত ক্ষতি হয়েছে। শুনেছি ৫০ কোটির থেকে বেশি। ১০০ কোটিও হতে পারে ক্ষতির পরিমাণ।“আরজি করে পুলিশের উপর হামলারও নিন্দা করেন মমতা। বলেন, “সারা রাত ঘুমাইনি। জেগে ছিলাম, কখন শান্তি ফিরে আসবে।“ গান্ধীজির পথে থেকে অহিংস আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন মমতা।

এর পরে বিজেপিশাসিত রাজ্যে মহিলাদের উপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, “উত্তরাখণ্ডে নার্সের ধর্ষণ, মৃত্যুর ন’দিন পর দেহ মিলেছে।“ গুজরাতে গণধর্ষণ, উন্নাও, হাথরসের কাণ্ড, উত্তরাখণ্ডে নার্সের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এগুলো কাদের আমলে হয়েছে?“। এর পরে এক এক করে অনিতা দেওয়ান, তাপসী মালিকের ঘটনা মনে করান তৃণমূল সভানেত্রী। অভিযোগ, এগুলি সবই সিপিএমের আমলে হয়েছে। তীব্র কটাক্ষ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মণিপুর সামলাতে পেরেছন? নাগাল্যান্ড, অসম সামলাতে পেরেছেন? মিথ্যে প্রমাণিত হয়। যতই কুৎসা করা হোক। ওগুলো ফেক ভিডিয়ো। সত্য নয়। সত্য মানতে আমার অসুবিধা নেই।“ তাঁর কথায়, “আমি এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। মণিপুরে মহিলাদের যখন নির্যাতন করা হয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকার ক’টা দল পাঠিয়েছে? সত্য ঘটনা সামনে আসুক।“