মাত্র ১২০ টনের রকেট মহাকাশে নিয়ে যাবে ৫৬০ টনের স্যাটেলাইটকে। আর এই স্যাটেলাইটে এবার বদলে যেতে চলেছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের কাহিনী। শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেশ সেন্টার থেকে ইওএস-০৮ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের পরে দাবি ইসরো-র। এমনকি ইসরো-র আসন্ন গগনযান প্রকল্পেও সাহায্য করবে এই স্য়াটেলাইট।
ইসরো প্রায় সাত বছরের কঠোর পরিশ্রমের পরে শুক্রবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে এই ইওএস-০৮ স্যাটেলাইটটি। এই সাফল্যের পরে এই মহাকাশযানের ডিরেক্টর অবিনাশ জানান, এই সাফল্যের পরে বেশি পরিমাণ পে-লোড মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হবে। অনেক বেশি ডেটা সংগ্রহ সম্ভব হবে। এই স্যাটেলাইটটি ১৮টি নতুন প্রযুক্তিতে দেশকে সাহায্য করতে পারবে বলেও জানান অবিনাশ।
এসএসএলভি-ডি৩/ইওএস-০৮ স্যাটেলাইটটিতে ১২০ টনের রকেটে ৫৬০ টনের স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। এর আগে এত ভারী স্যাটেলাইট পাঠাতে অন্তত ৬৪০ টনের রকেট ব্যবহার করা হত। সেই সঙ্গে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অনুমান ১৭০ কোটি খরচ হয়েছে এই প্রজেক্টে। সেক্ষেত্রে অত্যন্ত কম খরচে এই হালকা ওজনের রকেট বানাতে সক্ষম হয়েছে ইসরো। সেই সঙ্গে ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ দাবি করেন, এই রকেটের প্রযুক্তি ‘সাধারণ’ এবং ‘নির্মাণ বাধামুক্ত’।
সেই সঙ্গে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জানা সম্ভব হবে ভূপৃষ্ঠে কত পরিমাণ অতিবেগুনি রশ্মি আসছে। সেই পরিমাপ থেকে সহজ হবে গগনযান উৎক্ষেপণ। ভারতের প্রথম মানুষ সহ মহাকাশযান হবে গগনযান। সেই যান পাঠানোর আগে তাতে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব সম্পর্কে নিশ্চিত করবে ইওএস-০৮।