R G Kar: ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাই কোর্ট, রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব, ভর্ৎসনা সন্দীপকেও

0
3

মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচির সময় আর জি কর মেডিক্যাল (R G Kar Medical College And Hospital) কলেজে ভাঙচুর নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার রাতে পুলিশের (Police) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে কেন সেমিনার হলের কাছের ঘর ভাঙা হল- সেই নিয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছে আদালত। একই সঙ্গে সিবিআই-কে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আন্দোলরত চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদেরও আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওযা হয়েছে।আর জি করে ভাঙচুর ও সেমিনার হলের কাছে ঘর ভাঙা নিয়ে মামলায় শুক্রবার একের পর এক প্রশ্ন তুলল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। প্রথমেই বিচারপতি প্রশ্ন করে, কেন পুলিশের কাছে খবর ছিল না, যে সেই রাতে হাসপাতালে এত লোক জড়ো হবে? প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “১০০ জনের জমায়েত হলেই সাধারণত গোয়েন্দারা নজর রাখেন। ৭ হাজার মানুষের জমায়েতে তাঁরা কী করছিলেন? এত লোকের জমায়েত হল আর পুলিশের গোয়েন্দারা কিছু জানলেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।“ এর পরেই কটাক্ষ করে আদালাত প্রশ্ন তোলে “পুলিশ নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। জনতাকে ঠেকাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা কী ভাবে রক্ষা করবে?”

আর জি করের যে সেমিনার হলে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার কাছের ঘরটি কেন ভাঙা হন তা নিয়েও এদিনের শুনানিতে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, ”এত তাড়াহুড়ো কীসের? সব হাসপাতালেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম-ঘর রয়েছে। এত বড় একটা ঘটনা ঘটেছে, এই পরিস্থিতিতে আপনারা সেখানে ডিসটার্ব করছেন! ঘটনাস্থল নিরাপদ রয়েছে এই মর্মে হলফনামা দিন।” প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান,  চিকিৎসকদের দাবি মেনে ওই অংশে একটি বিশ্রামের ঘর তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজ শুরু হয়েছিল।

একই সঙ্গে CBI-কেও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশও দেন প্রধানবিচারপতি।  তদন্তে সিবিআইয়ের দীর্ঘসূত্রিতার ধারাবাহিক উদাহরণ দেখেই হয়ত তাঁর মন্তব্য, ”বিষয়টিতে দেরি করবেন না। আপনি হলফনামা দেবেন। রিপোর্ট দেবেন। জবাব দেবেন। আবার জবাবের জবাব দেবেন। এই করতে করতে আমি অবসর নেব।”

একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মানুষ যেভাবে নির্যাতিতার নাম ও ছবি প্রকাশ করছে, সেটাও বন্ধ করার আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ”আমরা অনুরোধ করছি মৃতাকে যাঁরা চেনেন তাঁরা তাঁর নাম এবং ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন না। সংবাদমাধ্যমও কোথাও তা প্রকাশিত করতে পারবে না। এটা করা যাবে না, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে।”

একই সঙ্গে এদিন আর জি করের (R G Kar Medical College And Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ভর্ৎসনা করেছে আদালত। কারণ তাঁর আইনজীবী আদালতে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, ”আমার মক্কেলকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের সঙ্গে আমরা সহযোগিতা করেছি।  রাজ্য বা কেন্দ্রীয় বাহিনী, যে কোনও সংস্থাকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিক আদালত।” উত্তরে আইনজীবীকে বিচারপতির বলেন, ”আপনার মক্কেল তো প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে রাজ্য রয়েছে। কেন আবার নিরাপত্তা চাই? বাড়িতেই থাকুন। শান্তিতে থাকুন। না হলে বলুন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে দিচ্ছি।”