বানতলার প্রসঙ্গ উঠতেই মুখে কুলুপ! সাংবাদিকদের প্রশ্নে দিশেহারা মীনাক্ষী

0
2

বুধবার রাতেই দুষ্কৃতী তাণ্ডবে নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (R G Kar) চত্বর। নির্যাতিতার জন্য সুবিচার চেয়ে পথে নামলেও পরবর্তীতে হিংসা ও অশান্তির পথ বেছে নেয় হামলাকারীরা। ইতিমধ্যে, সেই অভিশপ্ত রাতের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পরিকল্পনামাফিক হাসপাতালে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে একদল হামলাকারী। এদিকে শুক্রবারই দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ডোরিনা ক্রসিংয়ের মঞ্চ থেকে মমতার স্পষ্ট অভিযোগ সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত হামলাকারীরাই এমন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। আর জি করে হামলার সময় সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকাও। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বারংবার জানিয়েছেন দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। তবে শুক্রবার সকালে রাজ্যকে অশান্ত করার লক্ষ্যে পথে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পথে নামে সিপিআইএমও। তবে পুলিশি প্রচেষ্টায় সেই প্ল্যান ব্যর্থ হতেই নিজের পিঠ বাঁচাতে তড়িঘড়ি কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বামেদের যুব সংগঠন।

এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের জন্য একদিকে যেমন রাজ্যের মহিলাদের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে ঠিক তেমনই নিজেদের দোষ ঢাকতে গিয়ে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্নে রীতিমতো বেসামাল ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। বামেদের যুব সংগঠনের সপক্ষে হাজারো যুক্তি সামনে আনলেও বুধবার রাতের ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে সংগঠন। সেকারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজপথে নেমে আর জি কর-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির আবেদন করলেও পরিস্থিতি বুঝে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের মরিয়া প্রচেষ্টা মীনাক্ষীর। তবে এদিন রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধোনা করতেই পাল্টা সাংবাদিকরা মীনাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, বানতলার ঘটনায় আপনি বললেন একজন জেলে আছে। কিন্তু সেই গণধর্ষণকাণ্ডেও তো একাধিক অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছিল। সেই সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বলেছিলেন, এরকম ঘটনা তো ঘটতেই পারে। এমন প্রশ্নে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়ে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক জানান, যারা সেই ঘটনা ঘটিয়েছিল, তারা এখনও জেলে আছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তারা গ্রেফতার হয়েছিল। যারা সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের একটাই পরিচয়, তারা দুষ্কৃতী।

 

এরপরই সাংবাদিকরা মীনাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, আপনি বলছেন, এধরনের কাজ যারা করে তারা সমাজের শত্রু। তাহলে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত পরবর্তীকালে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছিলেন কীভাবে? এর উত্তরের স্পষ্ট জবাব না দিয়ে মীনাক্ষীর উত্তর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে এইধরনের কাজ কেউ করার আগে পাঁচবার ভাববে।