আরজি করে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্ক, সারারাত চিকিৎসকদের পাশে টলিউড তারকারা

0
2

কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যখন গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা, রাত দখলের স্লোগানে মুখরিত শহর থেকে গ্রাম, তখনই আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে তছনছ এমারজেন্সি বিভাগ। ভাঙচুর দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লোরে। আতঙ্কিত মেডিক্যাল কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সঙ্গে স্বাধীনতার রাত জাগলেন বাংলা বিনোদন জগতের (Bengali Entertainment Industry) খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা। পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালকে (RG Kar Medical College and Hospital) নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করলেন টলি শিল্পীরা।

বুধবার মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে নিজেদের মতো করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হাজির হয়েছিলেন রুপোলি জগতের তারকারা। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji), বিদীপ্তা চক্রবর্তী (Bidipta Chakraborty), শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar), লগ্নজিতা চক্রবর্তী, সোলাঙ্কি রায়, অলিভিয়া সরকার, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রা। হাসপাতালে ভাঙচুর নিয়ে প্রতিবাদে মুখর সেলিব্রেটিরা আন্দোলরত চিকিৎসকদের পাশে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। ১৪ আগষ্টের ভিড়, উন্মাদনা, প্রতিবাদের ঢেউ ১৫ আগষ্ট রাতে কিছুটা হলেও স্তিমিত। দুই প্রজন্মের অভিনেতা, পরিচালক, সঙ্গীতশিল্পী ছাড়া শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে হাসপাতালে। এই বিষয়টি হতাশ করেছে অভিনেত্রী সোলাঙ্কিকে। বিরসা-বিদীপ্তার বড় মেয়ে মেঘলা দাশগুপ্তর (Meghla Dasgupta) আশঙ্কা ‘প্রতিবাদ’ বুঝি থিতিয়ে পড়েছে। গায়ক শোভন সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও অভিনেত্রী সোহিনী (Sohini Sarkar) বলেন, “আমরা শহরের আর কোনও মেয়ে, তরুণী চিকিৎসকের মতো যন্ত্রণা পেয়ে মরতে রাজি নই। এই প্রতিবাদ আর যেন না করতে হয়। আর যেন কোথাও, কোনও মেয়ের সঙ্গে এমন নারকীয় ঘটনা না ঘটে।” পাশাপাশি তিনি এই আন্দোলনকে তারকাদের প্রচার হিসেবে না দেখার অনুরোধও করেন সংবাদমাধ্যমকে।